বাসস ক্রীড়া-৩ : লিঁওর সাথে ড্র করতে বাধ্য হলো বার্সেলোনা

151

বাসস ক্রীড়া-৩
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
লিঁওর সাথে ড্র করতে বাধ্য হলো বার্সেলোনা
লিঁও, (ফ্রান্স), ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে বার্সেলোনাকে জিততে দেয়নি ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিঁও। ঘরের মাঠে শেষ ১৬’র প্রথম লেগের লড়াইয়ে ফেবারিট বার্সেলোনার সাথে গোলশুণ্য ড্র নিয়েই বাড়ি ফিরেছে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি। কিন্তু তারপরেও বার্সা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে এই ম্যাচ থেকেই ইতিবাচক কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মূলত স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় কালকের ম্যাচে গোল পাওয়া হয়নি বার্সেলোনার।
গ্রুপামা স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ জায়ান্টরাই সুযোগ বেশী পেয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে লুইস সুয়ারেজের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। যদিও মার্টিন টেরিয়ারের শট পোস্টে না লাগলে ম্যাচের প্রথমে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরাই।
লিওনেল মেসি ও তার বাহিনী আরো একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ পর্যায়ে এসে নিজেদের ব্যর্থতার প্রমানে যেন বরাবরের মতই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে এই নিয়ে ছয় ম্যাচে জয়বিহীন থাকলো কাতালান জায়ান্টরা। এই ম্যাচগুলোতে তারা একটি মাত্র গোল করতে সক্ষম হয়েছে। তিন বছর আগে থেকে তাদের এই ব্যর্থতার শুরু। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সাম্প্রতিক ইউরোপীয়ান প্রাধান্যকে টপকে যাবার জন্য মরিয়া বার্সেলোনার জন্য এখন আগামী ১৩ মার্চ ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতি ম্যাচেই সফলতার প্রমান দিতে হবে। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় গত পাঁচটি ম্যাচের চারটিতেই ড্র করেছে বার্সা। এই ম্যাচগুলোতে একটি মাত্র গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে। যে কারনে স্ট্রাইকারদের ফর্মে ফেরা এখন জরুরী হয়ে পড়েছে।
ভালভার্দে বলেন, ‘আমরা ভাল ফুটবল খেলেছি। কিন্তু তারপরেও ফুটবল গোলের খেলা, যেকোন ম্যাচেই গোলের বিকল্প নেই। আমরা সেটাই করে দেখাতে পারছিনা। আমরা সঠিক পথেই আছি। ড্র করলেও কিছুই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। নিজেদের সমর্থকদের সামনে আমরা জেতার চেষ্টা করবো। এই ফলাফলে আমি মোটেই খুশী নই। কিন্তু যেভাবে আমরা সুযোগগুলো সৃষ্টি করেছি তাতে আমি কিছুটা হলেও ইতিবাচক দিক দেখছি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের বাইরে কোন ম্যাচ জেতা এতটা সহজ নয়।’
ফর্মহীনতায় থাকা ফিলিপ কুটিনহোর জায়গায় মিডফিল্ডে সার্জি রবার্তোর উপরই আস্থা রেখেছিলেন ভালভার্দে। এবারের মৌসুমে বড় ম্যাচে রবার্তোর পারদর্শীতাই কোচের দৃষ্টিতে তাকে এগিয়ে রেখেছিল।
গ্রুপ পর্বে ব্রুনো জেনেসিওর দল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সম্ভাব্য ছয় পয়েন্ট থেকে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। লিগ ওয়ানেও ঘরের মাঠে সম্প্রতি পিএসজিকে পরাজিত করেছে। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত ইউরোপে তারা অপরাজিত রয়েছে। যদিও এটা তাদের টানা ষষ্ঠ ড্র। ম্যাচ শেষে লিঁও কোচ বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ফলাফল। দ্বিতীয় লেগে আমাদের সামনে সমান সুযোগ থাকছে। এই ম্যাচে একটি গোলও হজম করিনি, এটাও ইতিবাচক দিক। ক্যাম্প ন্যুতে গোল করতে পারলে আমাদের সামনেও এগিয়ে যাবার সুযোগ থাকবে।’
যদিও তিনি স্বীকার করেছেন আরো ভাল পারফরমেন্স তিনি আশা করেছিলেন। বহিষ্কারাদেশের কারনে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক নাবিল ফেকিরকে লিঁও দলে পায়নি। তার স্থানে বিস্ময়করভাবে মূল একাদশে খেলতে নামেন ২১ বছর বয়সী টেরিয়ার। ম্যাচের ৯ মিনিটে ২০ গজ দুর থেকে টেরিয়ারের শট অল্পের জন্য মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের মাথার উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। টেরিয়ারের আরেকটি শটের পর হোসেম অয়ারও স্বাগতিকদের হতাশ করেছেন। যদিও ম্যাচের প্রায় বেশীরভাগ সময়ই বলের দখল ছিল বার্সেলোনার কাছে। প্রথমার্ধে ওসমানে ডেম্বেলে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। বিরতির পর জোর্দি আলবার পাস থেকে সুয়ারেজও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১৬টি ম্যাচে গোলবিহীন থাকলেন সুয়ারেজ।
বাসস/নীহা/১৩৫০/স্বব