বাসস ক্রীড়া-৫ : চ্যাম্পিয়ন্স লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে জুভেন্টাসের মোকাবেলায় অ্যাটলেটিকো

128

বাসস ক্রীড়া-৫
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স-জুভেন্টাস-এ্যাটলেটিকো-প্রিভিউ
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে জুভেন্টাসের মোকাবেলায় অ্যাটলেটিকো
মাদ্রিদ, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ভয় না পেতে জুভেন্টাস খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিপক্ষ এমন একটি দল, যাদেরকে অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ভয় পাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
গত ডিসেম্বর শেষ ষোলর ড্রয়ে পরস্পরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ক্লাব দুটি। যে কারণে এই দুই দলের মধ্যে থেকে কোন দলটি নক আউট পর্বের এই বাঁধা অতিক্রম করবে তা আগাম বলার কোন সুযোগ নেই।
আগামীকাল বুধবার শেষ ষোলর প্রথম লেগের ম্যাচটি অনুষ্টিত হবে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে। এ উপলক্ষে আলেগ্রি বলেন, ‘প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে ভয় না পাওয়া।’ আর অ্যাটলেটিকো বস দিয়াগো সিমিওনে বলেন, ‘এটি এক কথায় ফাইনাল ম্যাচ। কোনভাবেই আমাদের ভুল পথে পা দেয়া যাবেনা।’
এ পর্যন্ত ১২টি করে ইউরোপীয় কাপের ফাইনাল খেলেছে জুভেন্টাস ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গত মৌসুমে ইউরোপা লীগের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অ্যাটলেটিকো প্রমান করেছে ইউরোপের দ্বিতীয় সারির ক্লাবগুলোর তুলনায় তারা অনেক বেশী শক্তিশালী। অপরদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ৯৮ মিনিটের সময় নেয়া বিতর্কিত পেনাল্টির সুবাদে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হার মানে জুভেন্টাস। এটি ছিল জুভেন্টাসের বিপক্ষে ৭ ম্যাচে রোনালদোর ১০ম গোল। এর দুই বছর আগে আসরের সেমি-ফাইনালে রিয়ালকে পরাজিত করেছিল জুভেন্টাস। তবে এর পর দুই লেগে আর গোল করতে পারেননি রোনালদো।
গত গ্রীষ্মে পর্তুগাল এই সুপার স্টারকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে কিছুটা নির্ভার হয়েছে জুভেন্টাস। এখন উল্টো তারাই জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। ২০১১ সাল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোন ম্যাচে একটি গোল করে সন্তুষ্ট থাকেননি রোনালদো। জুভেন্টাস প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি বলেন, ‘তাদের দলটি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। কারণ সেখানে যোগ দিয়েছেন ক্রিস্টিয়নো রোনালদো।’
দুই যুগ ধরে অপেক্ষমান জুভেন্টাস :
টানা অস্টমবারের মত স্কুডেট্টো জয়ের পথে রয়েছে জুভেন্টাস। তবে বার বার এই একটি ট্রফিই ধারাবাহিকভাবে জয় করে আসছে তারা। যে কারণে এখন দলটির মধ্যে চাপ ঘণীভূত হচ্ছে। ইউরোপের অভিজাত ট্রফি তারা ঘরে তুলতে পারছেনা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে। কিন্তু এখন বিশ্বসেরা খেলোয়াড়কে দলভুক্ত করে তারা নিজেদের র‌্যাংকিংকেও বাড়িয়ে নিয়েছে।
আলেগ্রি বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন অ্যাটলটিকো ভীতি। গোলের জন্য আমাদেরকে সঠিক মুহুর্তটির অপেক্ষা করতে হবে। তাদের মাঠে গিয়ে আমাদের গোল পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপুর্ন। অন্যথায় পরের রাউন্ডে পৌছানোটা কঠিন হয়ে পড়বে।’
এবারের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অ্যাটলেটিকোর হোম ভেন্যু ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতেই। যে কারণে ফাইনালে পৌছাতে পারলে বাড়তি সুবিধা নিয়ে শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। কোচ সিমিওনে বলেন, ‘আমাদের স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলার জন্য আমরা দারুনভাবে উজ্জীবিত। কারণ ম্যাচটি আমাদের শহরে এবং আমাদের দর্শকদের সামনেই অনুষ্ঠিত হবে।’
গত সপ্তাহে বর্তমান ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়ে গেছেন সিমিওনে। তবে তার উপস্থিতিতে ক্লাবটির উল্লেখযোগ্য উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক সমর্থক। কারণ কোপা দেল রে থেকে ছিটকে পড়েছে অ্যাটলেটিকো। লা লীগায়ও শীর্ষ পয়েন্টধারী বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে তারা। তাই আসন্ন ম্যাচে জয় পেলে এই বিতর্কের অবসান হয়তো হবে। অন্যথায় সিমিওনেকে নিয়ে প্রশ্ন ক্রমেই জোড়ালো হবে।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৭১০/স্বব