চেলসিকে বিদায় করে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইউনাইটেড

196

লন্ডন, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে ২-০ গোলে পরাজিত করে অনেকটা মধুর প্রতিশোধই নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একইসাথে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলেছে রেড ডেভিলসরা। এই পরাজয়ে চেলসি ম্যানেজার মরিজিও সারির বিদায় প্রায় নিশ্চিত বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে ম্যাচের ৩১ মিনিটে পল পগবার দুর্দান্ত এক ক্রসে এ্যান্ডার হেরেরা ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন। এরপর বিরতির ঠিক আগে ফ্রেঞ্চ এই স্ট্রাইকার নিজেই ব্যবধান দ্বিগুন করে কোচ ওলে গানার সুলশারকে জয় উপহার দেন।
২০১৭ সালের ফাইনালের পর এই প্রথম এফএ কাপে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল চেলসি। গত মৌসুমে ফাইনালে ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল ব্লুজরা। নিজের প্রথম মেয়াদে হতাশাজনক একটি মৌসুমের জন্ম দিয়ে সারি এখন বিদায় ক্ষণ গণনা করছেন। চলতি মাসের শুরুতে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে প্রিমিয়ার লিগে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ম্যাচটি ছিল ২৮ বছরের ইতিহাসে চেলসির সবচেয়ে বড় পরাজয়। এর আগের সপ্তাহেই বোর্নমাউথের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল সারির দল। গুঞ্জন ছিল খেলোয়াড়দের সমর্থন ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছেন সারি। একের পর এক পরাজয়ে মূলত শুধুমাত্র খেলোয়াড়ই নন ক্লাব কর্মকর্তারাও সারির ব্যপারে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। গত ১০ ম্যাচে গতকাল চেলনি পঞ্চম পরাজয়ের মুখ দেখেছে। কালকের ম্যাচে স্বাগতিক সমর্থকরাও সারির উদ্দেশ্যে বলেছে, ‘তুমি নিজেও জাননা তুমি কি করছো, কাল সকালেই তুমি বরখাস্ত হচ্ছো।’ তাদের দাবি সাবেক তারকা ও বর্তমানে ডার্বিতে কোচের দায়িত্বে তাকা ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডকেই সারির স্থলাভিষিক্ত করা হোক। যদিও চেলসি মালিক রোমান আব্রামোভিচ এখনো সারির বরখাস্তের পক্ষে মত দেননি।
বর্তমানে চেলসি প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চার থেকেও বাইরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের শেষ ৩২’র দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মালমোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারো মাঠে ফিরছে ব্লুজরা। প্রথম লেগে চেলসি ২-১ গোলে জয়ী হয়েছিল।
এদিকে এই নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মত শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে ইউনাইটেড। ২০১৬ সালের পর প্রথম ও রেকর্ড স্পর্শকারী ১৩বারের মত এফএ কাপের শিরোপা জয়ে তারা সঠিক পথেই আছে। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগের লড়াইয়ে পিএসজির কাছে ২-০ গোলের পরাজয়ের পর ইউনাইটেডের এই ফিরে আসাটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ১১ ম্যাচে সুলশারের অধীনে ইউনাইটেড অপরাজিত ছিল। কালকের ম্যাচে মধ্যমাঠের দূরন্ত ফর্মেশনেই সুলশার সারিকে পরাস্ত করেছেন। এমনকি ডেভিড ডি গিয়ার স্থানে মূল দলে গোলরক্ষক হিসেবে খেলিয়েছেন সার্জিও রোমেরোকে। প্রথম দিকে রোমেরোকে অবশ্য কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে। ইউনাইটেডের দেয়ালের ওপর দিয়ে ডেভিড লুইজের ফ্রি-কিক দক্ষতার সাথেই রুখে দেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। পেড্রোর শক্তিশালী শট পায়ের সাহায্যে ফিরিয়ে দেন। সিজার আজপিলিকুয়েটার ক্রসে গঞ্জালো হিগুয়েইন গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু তার শট গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। এই ভুলগুলোই শেষ পর্যন্ত চেলসিকে হতাশ করেছে। ৩১ মিনিটে বাম উইং থেকে পগবার ক্রসে গোল করে সফরকারীদের এগিয়ে দেন হেরেরা। ডিসেম্বরের পর এটি ছিল স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের প্রথম গোল। বিরতির ঠিক আগে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় পগবা ইউনাইটেডের ব্যবধান দ্বিগুন করেন।