একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ বিজয় সরকারের উন্নয়ন সাফল্যেরই স্বীকৃতি : সরকারি দল

604

সংসদ ভবন, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, সরকারের ১০ বছরে বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে জনগণ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করেছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর এ আলোচনা শুরু হয়। ওই দিন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ. স. ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ১২তম দিনে সরকারি দলের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, আহসানুল ইসলাম টিটু ও জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।
সরকারি দলের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে দেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বিগত ১০ বছরে ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার ৪শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। এখন দেশের অধিকাংশ এলাকা শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পাকিস্তানীদের টর্চার সেল ছিল। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হতো। তিনি এই সার্কিট হাউসটিকে ‘চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে নামকরণের দাবি জানান। তবে সেখানে যে স্থানটিতে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে ওই স্থানটি সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
তিনি বিগত ১০ বছরে আবাসন খাতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরেন।
সরকারি দলের সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তারেক রহমানের ফাঁসির দাবি করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার মাধ্যমে গত ১০ বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সময়ে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে এক নাগাড়ে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসার ফলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মাধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। এ জন্য বর্তমান উন্নয়নের গতি আরো বাড়াতে তারা পরামর্শ দেন।