বাসস দেশ-৩৩ : দেশিয় ব্যাটারি শিল্প কারখানার স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে : শিল্পমন্ত্রী

278

বাসস দেশ-৩৩
হুমায়ূন-ব্যাটারি-প্রস্তুতকারক-সমিতি
দেশিয় ব্যাটারি শিল্প কারখানার স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে : শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশিয় পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি শিল্প কারখানার স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদেরকে রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে।
আজ সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে সমিতির নেতৃবৃন্দ শিল্পমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। বৈঠকে উদীয়মান ব্যাটারি শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় সমিতির সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ্ মঈন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করে শিল্পজোন স্থাপনের বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানাগুলোকে আইন মেনে চলতে এবং নিয়ম অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন। ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি শিল্প জোন গঠনের দাবি জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, দেশের ব্যাটারি শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্পখাতে ইতোমধ্যে ২৪টি দেশিয় উৎপাদনকারী কারখানা গড়ে ওঠেছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত ব্যাটারি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রায় ৬৯টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ শিল্পখাত থেকে প্রতিবছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে সমিতির নেতারা ব্যাটারি শিল্পের সুষম বিকাশে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন।
তারা বলেন, এ নীতির আলোকে পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি শিল্প কারখানা গড়ে তুললে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়াস জোরদার হবে। এছাড়া ট্যাক্স, ভ্যাটসহ সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তারা জাতীয় স্বার্থে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাসস/সবি/এমএমবি/২০০৫/কেএমকে