কিশোরগঞ্জ জোনে টাটা ব্র্যান্ডের মোটরযান তৈরি হবে

693

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : ভারতের বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাটা মটরস বাংলাদেশের নিটল-নিলয় গ্রুপের সাথে যৌথ উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোনে টাটা ব্র্যান্ডের মোটরযান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষে মূলধনী যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এসব যন্ত্রপাতি জোনে পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি কারখানা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে টাটা মটরস এই খাতে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া আরো কয়েকটি দেশি-বিদেশী প্রতিষ্ঠান এই জোনে কৃষিভিত্তিক খাদ্য এবং বেভারেজ, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি এবং টেলি-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ আগ্রহ দেখিয়েছে।
এসব বিনিয়োগ পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করতে কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন লিমিটেডকে আগামীকাল চূড়ান্ত সনদ প্রদান করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এ লক্ষ্যে কাল ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে বেজার একটি চুক্তি সই হবে।
এ বিষয়ে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বাসসকে বলেন, ‘টাটা মটরসের বিনিয়োগের ফলে মোটরযান তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে নতুনভাবে পরিচিতি পাবে। এতে অন্যরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।’
তিনি মনে করেন কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন কৃষি নির্ভর হাওরাঞ্চলের প্রবেশদ্ধার ভৈরবের নিকটবর্তী হওয়ায় সহজে বিনেয়োগ আকর্ষণ এবং এই অনগ্রসর এলাকার জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপের একটি উদ্যোগ যা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দুই পাশে ৯১ দশমিক ৬৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।
পণ্য পরিবহনসহ অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে জোনটি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। জোনটি ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ১০০ফুট মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত। জোনের নিজস্ব রেল লাইনটি গচিহাটা রেল স্টেশন পয়েন্টে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ লাইনে যুক্ত আছে এবং আশুগঞ্জ ও ভৈরব নদী বন্দর থেকে জোনের দূরত্ব¡ মাত্র ৪০ কিলোমিটার।
পবন চৌধুরী জানান, কিশোরগঞ্জ জোন সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করলে ৫ বছরের মধ্যে ৫ হাজার লোকের সরাসরি এবং ২০ হাজার মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
এর আগে আরো ৮টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল চূড়ান্ত সনদ পেয়েছে। এই ৯টিসহ মোট ১৯ প্রতিষ্ঠানকে প্রাকযোগ্যতা সনদ প্রদান করা হয়েছে।