দুর্নীতি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে : আইনমন্ত্রী

160

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস): আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, যা সরকারের রয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গ্রগতিশীল কলামিষ্ট ফোরাম আয়োজিত ‘দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি আজ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা বরেন- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল একে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব), কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, ড. মিল্টন বিশ্বাস ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তা- সময়ের দাবী, জনগনের দাবী। দেশে আর দুর্নীতি হতে দেয়া যায় না। কারণ দুর্নীতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে আঘাত করেছে। দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করেছে। সামাজিক অবক্ষয় ও বৈসম্য সৃষ্টি করেছে। এর কারণে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে আদর্শ ও নৈতিকতা। তাই যে কোন মূল্যে দুর্নীতি দমন করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগনের বিপুল ভোটে সরকারের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশকে দুর্র্নীতিগ্রস্ত এই দুর্নাম ঘোচানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। দুর্নীতিবিরোধী অস্ত্র নামে খ্যাত তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ণ করেন। এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার তথা ডিজিটাইলেজশন করতে উদ্যোগ নেন। বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দুর্নীতির পরিমান হ্রাস পাচ্ছে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।
বিভিন্ন কারণে দেশে দুর্নীতি দমন একচি চ্যালেঞ্জিং ইস্যু উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তা দমন করা সম্ভব। তিনি বলেন, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো যেখানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তা দমনে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি অটোমেটিক্যালি কমতে থাকবে। এজন্য দুদককে আরো শক্তিশালী ও কৌশলী হতে হবে। দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আলোচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান রাজনীতি ও দুর্নীতিকে আলাদা রাখার তাগিদ দিয়ে বলেন, দুর্নীতি ও রাজনীতিকে একসঙ্গে মেলাবার সুযোগ নেই। রাজনীতিকে রাজনীতির মত থাকতে দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত ও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।