বাসস দেশ-৮ : পুরনো ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম ও দোকান সরিয়ে নেয়ার দাবিতে ১৬টি সংগঠনের মানবন্ধন

232

বাসস দেশ-৮
পবা-মানবন্ধন
পুরনো ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম ও দোকান সরিয়ে নেয়ার দাবিতে ১৬টি সংগঠনের মানবন্ধন
ঢাকা, ৩ জুন ২০১৮ (বাসস) : অবিলম্বে পুরনো ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম ও দোকান সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মানবন্ধন করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ ১৬টি সংগঠন।
আজ রোববার পুরনো ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডির ঘটনাস্থল সংলগ্ন স্মৃতিস্তম্ভের পাশে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এই দাবী জানান।
নিমতলী ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্তি উপলক্ষে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ)-সহ ১৬টি সংগঠনের উদ্যোগে এই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, নাসফ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল আউয়াল, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নবাব কাটারা সমাজ কল্যাণ সংগঠন এর সভাপতি হাজী মো. শহীদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, রাসায়নিক কারখানা, গুদাম, দোকানে আগুন নিভানোর নিজস্ব কোন ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় রাস্তার অভাবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীগুলো দুর্ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারে না। অনেক সময় অগ্নিকান্ডস্থলের কাছে জলাধার না থাকায় পানির অভাবে ফায়ার সার্ভিসকে বেগ পেতে হয়। তাই পুরনো ঢাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম ও দোকান সরিয়ে নেয়া হোক।
তারা আরও বলেন, নিমতলী এলাকায় রাসায়নিকের পুরাতন গুদামের সংখ্যা কমে হলেও আবার নতুন গুদাম গড়ে উঠেছে, রয়েছে প্লাস্টিকের অনেক কারখানা। নিমতলী এখনো একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
মানববন্ধনের শুরুতে নিমতলী ট্র্যাজেডির স্মরণে গড়ে তোলা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরনো ঢাকার নিমতলীতে একটি ভবনের নিচতলার রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদামে আগুন লেগে মুহূর্তেই তা বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৬১০/-আসচৌ