বাজিস-৭ : কেরাণীগঞ্জে ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

318

বাজিস-৭
কেরাণীগঞ্জ- ইটভাটা
কেরাণীগঞ্জে ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান ৩০ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা কেরাণীগঞ্জের একাধিক ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের মোল্লারহাট ও জাজিরা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি আভিযানিক দল।
এসময় ইটভাটা আইন লঙ্ঘনের দায়ে মোল্লারহাট এলাকার মোল্লা ব্রিকস এন্ড কোং ইটভাটাকে নগদ ১১ লাখ টাকা, পার্শ্ববর্তী মেসার্স এমএইচএস এন্ড কোং ইটভাটাকে ১১ লাখ টাকা এবং জাজিরা এলাকার নিউব্রিকস ম্যানুফ্যাকচার নামক ইটভাটাকে ৮ লাখ টাকাসহ মোট ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের আভিযানিক দলের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইটভাটা পরিচালনার বৈধ কোন লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিপ্তরের কোন ছাড়পত্র না থাকায় তাদেরকে নগদ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে এসকল ইটভাটার মালিককে এক বছর করে সাজার রায়ও প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহম্মেদ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এই আদেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর (ডিডি) মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিহির লাল সরকার, মো. শরীফুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক খালেদ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে নদী দখল, কয়লা পোড়ানোর পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো, পরিবেশ দুষণকারি টায়ার টিউব পোড়ানো, খোলা পায়খানা ব্যবহার, শিশুশ্রম ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে মাটি চুরির অভিযোগও রয়েছে এদের অনেকের বিরুদ্ধে। তাছাড়া প্রায় ৯০ শতাংশ ইটভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে না আধুনিক ও পরিবেশ সম্মত ঝিকঝাক চিমনি বা চুল্লী। বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটার বেশির ভাগেরই নেই কোন পরিবেশ ছাড়পত্র। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন আদেশ- নিষেধকেও আমলে নিচ্ছে না তারা। অধিকাংশ মালিক আদালতের একাধিক মামলা মোকদ্দমা মাথায় নিয়েও হরহামেশা চালিয়ে আসছে তাদের এধরনের বেআইনি সব কর্মকান্ড। তারা ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ কে অমান্য করছে। পাশাপাশি তারা পরিবেশ ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতিরেকে কৃষি জমি, নদী বা খাল দখলসহ পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করে অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত করে আসছে। যা ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এর ধারা ১৪ ও ১৫ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এসব বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয় থেকে একাধিকবার অবহিত করা সত্ত্বেও তা আমলে নিচ্ছেন না এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহম্মেদ বলেন, অবৈধসব ইটভাটায় আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। তিনি বলেন, আজ আমরা তিনটি ইটভাটাকে জরিমানা করেছি। পর্যায়ক্রমে কেরাণীগঞ্জে যত অবৈধ ইটভাটা আছে সবগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে। অবৈধভাবে কেউ কেরাণীগঞ্জে কোন ইটভাটা চালাতে পারবে না। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯৫০/মরপা