বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ : সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে : প্রধানমন্ত্রী

270

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫
শেখ হাসিনা – বাণী
সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করে আমরা তথ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছি। আমরা দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি।’
বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
তিনি আগামীকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস ও শ্রোতাক্লাব সম্মেলন ২০১৯ উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের বেতার শ্রোতা, কলাকুশলী ও সম্প্রচার কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ বেতার স্বাধীনতাউত্তর দেশ গঠনে অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর থেকে আমরা যে নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশ বেতার তা পৌঁছে দিচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে। দেশে বিদেশে সর্বত্র গড়ে তুলছে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করেছি কাক্সিক্ষত মধ্যম আয়ের দেশের খেতাব। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেই বাংলাদেশের উন্নয়ন তরী পৌঁছে যাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্œের বন্দরে।
সেই পথচলায় বাংলাদেশ বেতারের প্রতিটি কর্মী যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করার পর থেকে বেতার এ অঞ্চলের সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্যমোচন, কৃষি উন্নয়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা জাতিকে আজীবন কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে রাখবে।
তিনি বিশ্ব বেতার দিবস ও শ্রোতাক্লাব সম্মেলন ২০১৯-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯৩০/এমকে