বিশ্বের ১২১টি দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

231

সংসদ ভবন, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২১টি দেশে ৬৭৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিজাত পণ্য অধিকহারে রপ্তানি বাড়াতে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে বিদ্যমান রপ্তানি নীতিতে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সর্বক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ চাষ ব্যবস্থা ও উত্তম কৃষি পদ্ধতি ‘গুড এগ্রিকালচার প্র্যাকটিস (জিএপি)’ অনুসরণ করে মাঠ থেকে বাজার ‘ফারম টু মার্কেট’ নীতি অনুসরণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া কৃষিপণ্য উন্নয়নে বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে এবং বালাইমুক্ত কৃষিপণ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংকে শক্তিশালী করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিপণ্য (শাকসবজি বা ফলমূল) ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য খাতে রপ্তানির বিপরীতে শতকরা ২০ ভাগ হারে রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, খাত ভিত্তিক রপ্তানি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ‘এগ্রো এন্ড এগ্রো-প্রসেসড প্রোডাক্ট’কে ২০১৯ সালের জন্য ‘বর্ষ পণ্য-২০১৯ (প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার-২০১৯) ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২১ এ কৃষি খাত ও এগ্রো-প্রডাক্টসের উপর পৃথক অধ্যায়ে নানাবিধ নীতি সুবিধা প্রদানের বিষয়ে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে মানসম্মত কৃষিপণ্য উৎপাদনে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য খাতে রপ্তানি আয় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৭৩ দশমিক৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জিত হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই খাতে ৭১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।