বাসস দেশ-৩০ : বিশ্ব ইজতেমার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে : নিরাপত্তায় থাকছে ১০ হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী

490

বাসস দেশ-৩০
বিশ্ব-ইজতেমা
বিশ্ব ইজতেমার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে : নিরাপত্তায় থাকছে ১০ হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী
গাজীপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
১৪ ফেব্রুয়ারির আগেই মাঠের সকল কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, আগামি ১৫ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পরই আম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। অন্যান্য বছরের চেয়ে ইজতেমার নিরাপত্তা আরো বেশি জোরদার করা হয়েছে। এবারের ইজতেমার নিরাপত্তায় এবার ১০ হাজারের বেশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, এবার ইজতেমা বিরতি না দিয়ে দুই পক্ষের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম পক্ষ মাওলারা যোবায়ের অনুসারীদের আগামি ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাত শেষে রাতের ধ্যেবা ময়দান ছেড়ে দিতে হবে আর সাদ অনুসারীদের ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু করে ১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
হুমায়ুন কবীর বলেন এবার যাতায়াতের সুবিদার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৩৮ টি ট্রেনের ব্যবস্থা করবে এবং বিআরটিসি ৩০০ বাস সার্ভিস সেবা দিবে। মুসল্লিদের পয়ঃনিষ্কাশন এর জন্য ৮ হাজার পাকা টয়লেট ও ১ এক হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওজু গোসলের জন্যও সুব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবছর সিসি ক্যামেরাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এ পর্যন্ত প্যান্ডেল তৈরির কাজ ৭০ শতাংশ হয়েছে। আগামি ১৪ ফেব্রƒয়ারির আগেই সকল প্রস্তুতি শেষ হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর আজ দুপুরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠের কাজ পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের জানান, অন্যান্য বারের মতো এবারও সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও সাদা পোশাকে ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগত মুসল্লি¬দের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে শর্টসার্কিট ক্যামেরা এবং পুলিশ ও র‌্যাবের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ইতোমধ্যে মাঠের চতুরদিকে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএআর/২০৪৫/এইচএন