বাসস দেশ-২১ : ডিএসসিইর সেমিনারে বক্তারা : আয় বৈষম্য এসিডিজির লক্ষ্য অর্জনে বড় বাধা

315

বাসস দেশ-২১
ডিএসসিই-সেমিনার
ডিএসসিইর সেমিনারে বক্তারা : আয় বৈষম্য এসিডিজির লক্ষ্য অর্জনে বড় বাধা
ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : সারা বিশ্বে এখন প্রকট আয় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাতিক্রম নয়। আয় বৈষম্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম বাধা। তরুণদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য উদ্যোক্তা নীতিমালা প্রণয়ন জরুরী। পাশাপাশি আর্থিক খাতের সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের (ডিএসসিই) উদ্যোক্ত ক্লাবের আয়োজেন ’ইন্টারন্যাশালাইজেশন অব এন্ট্রিপ্রিনিউরাল এক্টিভিটিস ফর এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘ইন্টারন্যাশালাইজেশন অব এন্ট্রিপ্রিনিউরাল এক্টিভিটি: আর উই রেডি’ শীর্ষক গবেষনা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বলেন,দেশে এখনই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা এমডিজি অর্জনে রোল মডেল ছিলাম। আগামী দিনে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তথ্য ঘাটতি বড় বাধাঁ হতে পারে। পাশাপাশি তরুণদের কাজে লাগাতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি কোর্সের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
তিনি বলেন,বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বৈষম্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তার জন্য উন্নত বিশ্বই দায়ি। তাই তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে এ সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে। আর সব বিষয়গুলো সমন্বয় করতে সরকারকে অগ্রনী ভূমিকা নিতে হবে। কথা আর কাজের মধ্যে সমন্বয় রেখে আত্মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে দাঁড়াতে হবে।
ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ এখনও কোন ধরনের চাকুরি,লেখাপড়া এমনকি প্রশিক্ষনের মধ্যে নেই। তরুণদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এর জন্য কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরী।
তিনি বলেন,সরকার প্রধান দেশে কর্মসংস্থান তৈরি এবং উদ্যোক্তা বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু তার এসব প্রচেষ্টা সাবির্কভাবে সফল করতে দেশবাসীকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোমায়রা আজম। এ সময় ডিএসসিইর সহকারি অধ্যাপক রেহানা পারভীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হোমায়রা আজম বলেন,দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে সবকাজে নারীদেরকে আরো বেশি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারলে রফতানি বহুমূখী হতে পারে। এছাড়া ব্যাংক খাতের স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রাখতে হবে। তবে ব্যাংক খাতে কিছুটা সুশাসনের অভাব থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তা দূর হবে বলে মনে করেন তিনি।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দেশের উদ্যোক্তারা সহসী। সব ধরনের বাধা মোকাবেলা করেই এগিয়ে চলেছেন। তবে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে সরকারের আর্থিক, নীতি সহায়তা ছাড়াও অবকাঠামোগত নানা সুবিধা বাড়াতে হবে।
বাসস/আরআই/১৯২০/-আসচৌ