মেহেরপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান শান্ত (৪০) নামের এক ওষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তা নিহত হয়। এ সময় তার স্ত্রী, সন্তান, শাশুড়ি ও মাইক্রো চালক আহত হয়।
মৃত মোস্তাফিজুর রহমান শান্ত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আজিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি এ্যালকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. নামের একটি ওষুধ কোম্পানীর মেহেরপুর জেলা ম্যানেজার হিসেবে কর্মকর্তা ছিলেন। চাকরির সুবাদে মেহেরপুর শহরের ঘোষপাড়ায় বাড়ি করে বসবাস করতেন।
আহত স্ত্রী শামিমা সুলতানা সাথী মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। দুই বছরের ছেলে শির্ষ, শাশুড়ি সামসুন্নাহার ও মাইক্রো চালক মুজিবনগরের আনন্দবাস গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে টুটুল।
জানা গেছে, নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের ২ বছরের ছেলে শীর্ষ কয়েকদিন আগে ঘর থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। সেই থেকে সে বমি করতে থাকে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ঢাকায় স্থানান্তর করে। শুক্রবার রাতে ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে মাইক্রো ভাড়া করে রাতেই স্ত্রী, শাশুড়িসহ ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হন। এদিকে পথিমধ্যে আলমপুর নামক স্থানে পৌঁছলে ইটভাটার মাটি রাস্তায় পড়ে বৃষ্টির কারণে কাদা হয়ে যায়। সেখানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থানেই মোস্তাফিজুর রহমারে মৃত্যু হয়। রাতেই স্থানীয়দের খবরে সদর থানা পুলিশের একটি দল ও মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, মোস্তাফিজুর রহমান হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছেন। আহত স্ত্রী ও শাশুড়ির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের দু’জনকেই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে ময়না-তদন্ত না করার আবেদন করায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।