কলেরার টিকা উন্নয়নে আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালকের ‘প্রিন্স মাহিদোল পুরস্কার’ লাভ

381

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বব্যাপী কলেরার টিকার সফল বিস্তারের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিডিডিআর’বির নির্বাহী পরিচালক ও বিজ্ঞানী প্রফেসর জন ডি. ক্লেমেন্স ‘প্রিন্স মাহিদোল পুরস্কার’ লাভ করেছেন।
এ পুরস্কারের অপর বিজয়ী সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইয়ান আর. হোমগ্রেন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডের নির্বাচনে তারা এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রিন্স মাহিদোল ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মাহা চক্রী সিরিন্ধর্ন।পুরস্কারটি বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় স্বীকৃতি। থাইল্যান্ডের প্রয়াত প্রিন্স মাহিদোলের নামানুসারে প্রতিবছর এই পুরুস্কার প্রদান করা হয়। প্রিন্স মাহিদোল থাইল্যান্ডের আধুনিক মেডিসিন এবং জনস্বাস্থ্যের জনক হিসেবে খ্যাত।
প্রফেসর ক্লেমেন্স এবং প্রফেসর হোমগ্রেন দীর্ঘদিন যাবত আইসিডিডিআর’বির সাথে স¤পৃক্ত এবং তিন দশকের বেশি সময় ধরে তারা মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা (ওসিভি) নিয়ে কাজ করে চলেছেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাজপ্রাসাদে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআরবি’র উপনির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল কাওনাইন সহ অন্যান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাজকুমারী মাহা চক্রী সিরিন্ধর্ন মানব জাতির কল্যাণে নিরাপদ, কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং আন্তর্জাতিকভাবে লাইসেন্স প্রাপ্ত মুখে খাওয়ার এই কলেরার টিকা উদ্ভাবন এবং তার বিস্তারের জন্য প্রফেসর ক্লেমেন্স এবং তার সহকর্মীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রফেসর ক্লেমেন্স জানান, ‘একটি জনগোষ্ঠীর ষাট শতাংশ মানুষকে কলেরার টিকা দিলে সেই জনগোষ্ঠীর সবাই কার্যকরভাবে সুরক্ষা পেতে পারে। আমরা মনে করি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০৩০ সালের মাঝে কলেরা নির্মূলের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কলেরার টিকা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
প্রিন্স মাহিদোল ফাউন্ডেশন প্রতিবছর জনস্বাস্থ্য এবং মেডিসিন এই দু’টি বিভাগে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্যক্তি অথবা কোন প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। প্রতিটি পুরস্কারের সাথে একটি মেডেল, একটি সনদ এবং এক লাখ মার্কিন ডলার দেয়া হয়।