টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

197

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রধান শর্ত হলো সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা- যাতে প্রত্যেকে উন্নয়নের সুফল পায়। সরকার অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের সেই কাজ শুরু করেছে। তাই এখন যে উৎপাদন বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সেটা আগের তুলনায় অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং আর্থিক অন্তর্ভূক্তি অর্জন বা বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাসমূহের ভূমিকা বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সংগঠন ক্রেডিট এন্ড ডেভলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) সম্মেলনের আয়োজন করে।
সিডিএফ চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অর্থরিটি (এমআরএ) এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির, সিডিএফ নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স এন্ড ডেভলপমেন্ট (আইএনএম) এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সরকার যে আন্তরিক,সেই বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ ইতোমধ্যে দেশবাসী পেয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,‘আমি মনে করি-অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নের বড় কাজ হলো সবার জন্য বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা। সরকার তাই বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যখন ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু হয়, তখন এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু আমরা এতে পিছপা হয়নি বরং জনগণের কল্যাণে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। এর সুফল হিসেবে-ঘরে ঘরে মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, মানুষে-মানুষে সাম্যতা তৈরির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আরো বেশি কাজ করতে চান। কাউকে বাদ দিয়ে নয়,সকলকে সাথে নিয়ে তিনি এগিয়ে যেতে চান। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের সাথে একসঙ্গে কাজ করলে সেই লক্ষ্য অর্জন করা আরো সহজ হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এসডিজির পরিসর অনেক বড়। এটা কেবল সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে এর সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। ক্ষুদ্রঋণে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বড় ধরনের অবদান রাখছে।সেজন্য সমাজে পিরামিডের নীচতলার মানুষের আয় রোজগার বাড়ছে এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। তিনি বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গৃহীত সৃজনশীল উদ্যোগসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে কাজ করার সুপারিশ তুলে ধরা হয়।