ধুমপান ত্যাগ করার লক্ষ্যে তথ্য বাতায়ন ‘কুইট লাইন’ দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

211

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : তামাক ব্যবহার ও ধুমপান ত্যাগ করার লক্ষ্যে তথ্য বাতায়ন ‘কুইট লাইন’ দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘তামাকের উপর আরোপিত সারচার্জ ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বেচ্ছায় ধুমপান বা তামাক ত্যাগকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য এই ‘কুইট লাইন’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দেশে ধুমপান ও তামাককে নিরুৎসাহিত করতে সমন্বিতভাবে চাহিদা ও সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ স্বাস্থ্য, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, কৃষি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার খসড়া ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করেছে।
তামাকের উপর আরোপিত সারচার্জ থেকে কিছু অংশ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত দুঃস্থ ও গরীব রোগীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যয় করা যায় কিনা তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে কার্যকরী উপায় বের করার জন্য কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়নে স্টোকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এই আইনের কঠোর প্রয়োগে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হলে এগুলোর উপর উচ্চ কর ধার্য করতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমে তামাকের ক্ষতিকর দিকসমূহ প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ও অন্যান্য উৎস হতে আহরিত অর্থ খাতওয়ারী বিভাজন অনুমোদন করা হয়।