সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে : স্পিকার

246

ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, উত্তরাধিকার কিংবা সমঝোতার সূত্রে নয়, বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান। এ সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত ‘কন্সটিটিউশন, কন্সটিটুয়েন্ট এ্যাসেম্বলী এন্ড কন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেশনের বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য। দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই সংগ্রামের ফসল এই সংবিধান। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে উপহার দিয়েছেন এ অনন্য সংবিধান।
স্পিকার বলেন, ‘সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন – যেখানে মৌলিক নীতিগুলো লিপিবদ্ধ থাকে, যা জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।’
‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা দেয় সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ-এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে- যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে ১৫ টি দেশের ২৯ জন বিদেশীসহ ৮৪ জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল/ যুগ্মসচিব পদ মর্যাদার সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করে।
এ সময় ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের অংশগ্রহণকারী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।