জুট মিলগুলোকে লাভজনক করতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

228

সংসদ ভবন, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বিজেএমসির অধীন জুট মিলগুলোকে লাভজনক করতে সরকার গত দশ বছরে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিলগুলোকে লাভজনক করার জন্য পদক্ষেপসমূহের মধ্যে রয়েছে পাটের উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ, পাট চাষীদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে পাট কেনা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং পাট পণ্য ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করা।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সময়ে মোট পাঁচটি বন্ধ মিল চালু করা হয়েছে। মিলগুলো হচ্ছে- পিপল্স জুট মিলস্ লিমিটেড (বর্তমানে খালিশপুর জুট মিলস), কওমী জুট মিলস্ লিমিটেড (বর্তমানে জাতীয় জুট মিলস), দৌলতপুর জুট মিলস্ লিমিটেড, কর্ণফুলী জুট মিলস্ লিমিটেড ও ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরী।
এসব মিলগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নে খুলনা, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ৩টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর আওতায় কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৯শ’জনকে।
সরকারি দলের অপর সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি পাটকলের সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ২৯টি জুট মিল চালু রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি যার মধ্যে ৫৬টি কল বন্ধ রয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে কম বেশি ৬.১৮ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়।