নতুন সরকার ব্যবসা বান্ধব : প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা

539

ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, নতুন সরকার ব্যবসা বান্ধব। যারা বিনিয়োগকারী বা ব্যবসায়ী তাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করবো। ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় কমানো সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য: গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার’শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ খালেদ মাহমুদ,বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) মঈন উদ্দিন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (¯্রডো) চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন,এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, এনার্জী প্যাক পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড.আহমদ কায়কাউস বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমান সরকার তার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বেসরকারি খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে দেশকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাতেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
তিনি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর’ কার্যক্রম শুরুর উল্লেখ করেন। তিনি পরিকল্পিত বিনিয়োগের উপরও জোর দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের বেসরকারি খাত তাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ভুমিকা রেখে চলেছে। তবে ব্যবসায়িদের স্বার্থে দেশের ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় পরিস্থিতির উন্নয়ন দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।এছাড়াও এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি সাধনের উপর জোর দেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৯০০ মেগাওয়াট থেকে আজকে ২০ হাজার ৮৮৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫৬ শতাংশ বেসরকারি খাতে উৎপাদিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সভায় অন্য আলোচকরা তাদের বক্তব্যে গত এক দশকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তবে দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে বিনিয়োগ পরিকল্পনা দরকার। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ব্যাংক খাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর করা জরুরি।