বাসস দেশ-২৫ : মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে

100

বাসস দেশ-২৫
মৎস্যখাত- কর্মসংস্থান
মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে
ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : সরকারের নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণের ফলে মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আজ প্রথমবার মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানান।
মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবোল দাস মনি, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে প্রতিমন্ত্রী মৎস্য অধিদফতরের প্রধানফটকে বঙ্গবন্ধুর একটি ‘মুরাল’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রতিবছর গড়ে ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থাসের সৃষ্টি হয়েছে। জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এ খাতের অবদান ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মৎস্য-উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টন, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ১৭ হাজার টন। দেশের মোট উৎপাদনে মৎস্যচাষের অবদান ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বিগত ১০ বছরে মৎস্যখাতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। একক প্রজাতি হিসেবে মাছের অবদান সর্বোচ্চ, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ। জাতীয় জিডিপিতে এর অবদান ১ শতাংশের বেশি।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত নয় বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৯২ হেক্টর জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি ২০১৭-১৮ সালে ৩০৯ হেক্টর জলাশয় সংস্কার ও উন্নয়ন করার ফলে বার্ষিক গড়ে প্রায় ৩হাজার টন অতিরিক্ত মাছের উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০০৯-১০ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত বিগত ৯ বছরে নির্দিষ্ট সময়ে মাছধরা থেকে বিরত ২ লক্ষ ৪৮ হাজার জেলে পরিবারের ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৬৮হাজার ৮১৪ দশমিক ৭২ টন খাদ্যশস্য। মাসে ৪০ কেজি হারে এ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৮২৪/এএএ