বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : খাদ্যে ভেজাল বন্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

138

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-খাদ্য নিরাপত্তা দিবস
খাদ্যে ভেজাল বন্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্য সংরক্ষণের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের ভর্তুকিসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ যা খুবই সময়োপযোগী। আমরা প্রথমবার সরকারে আসার পরই দেশে পুষ্টিহীনতা দূর করার জন্য নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নিই। যদিও পরবর্তী সরকার এসে তা বন্ধ করে দেয়।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বের চতুর্থ, সবজিতে তৃতীয় এবং মৎস্য উৎপাদনেও আমাদের দেশে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
এ সময় তাঁর সরকার দেশীয় মাছ উৎপাদন গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ডিম-মাংস উৎপাদনেও বিশেষ নজর দিয়েছি আমরা। আমিষ জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ করা হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য চাহিদা কখনও শেষ হয়ে যায় না। যেহেতু আমাদের জমি বেশ উর্বর সেজন্য আমরা ফসল ফলনে নানা ধরেনের উদ্যোগ নিয়েছি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশজুড়ে খাদ্য গুদাম নির্মাণ করেন, যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল মজুদ করতে পারেন। আমরাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করছি।
তাঁর সরকার নতুন করে দেশজুড়ে সাইলো তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে ২৭ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, বলেন তিনি।
জনগণের পুষ্টি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিকর খাবারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মা-শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে অতি দরিদ্রদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মা যাতে তার শিশুর পরিচর্যা করতে পারেন সেজন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয়মাস করে দিয়েছি তাঁর সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে চিকিৎসা অপর দিকে পুষ্টিকর খাদ্য। এই দুটোর সমন্বয় হলেই আমাদের দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
আজকের শিশু আগামী দিনে যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে সেজন্য তাঁর সরকার দরিদ্র মা বা কর্মজীবী মা এবং সন্তানসম্ভবা মায়েদের ভাতা প্রদান করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আবার সন্তান প্রসবের পর মা তাঁর সন্তানকে যেন তারজন্য আমরা ভাতা দিচ্ছি। যাতে করে ওই শিশুটা একটু হৃষ্টপুষ্ট হয়। আর হাটে-মাঠে-ঘাটেও যেন এই ভেজালবিরোধী অভিযানটা অব্যাহত থাকে। তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও নেবো।’
নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং দেশে চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কারো কাছে হাত পেতে চলবে না, বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে এবং উন্নত সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
বাসস/এএসজি-এফএন/১৭২৪/আরজি