বাজিস-৩ : ভোলায় ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মিত হচ্ছে

190

বাজিস-৩
ভোলা-টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট
ভোলায় ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মিত হচ্ছে
ভোলা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলার উপজেলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ‘ভোলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট’। ৫ একর জমির উপর ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে শুরু করা হয়েছে। কারিগরী শিক্ষার প্রসারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্প’র কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে দ্বীপ জেলায় কারিগরী শিক্ষার মান বৃদ্ধিসহ সার্বিক অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে। বর্তমানে এখানে ৮টি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া আরো ৫টি স্থাপনা নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু করা হবে।
স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন বাসস’কে জানান, এখানে মূলত টেক্সটাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপরে লেখা পড়া করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। চলমান ৮টি ভবন নির্মাণের মধ্যে ৪তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। ৬ তলার ছেলেদের হোস্টেল নির্মাণ কাজ হয়েছে ৮০ ভাগ। ৬ তলা ফিমেল হোস্টেল হয়েছে ৭০ ভাগ। ৬ তলা বিশিষ্ট ডরমেটরিসহ রেষ্ট হাউজ ভবনের কাজ হয়েছে ৬৫ ভাগ।
প্রকৌশলী সরোয়ার আরো জানান, এখানে অফিসার্স কোয়ার্টার হচ্ছে ৬ তলা। এটার কাজ শেষ হয়েছে ৩০ ভাগ। ৪ তলা স্টাফ কোয়ার্টার ৪০ ভাগ। কর্টন স্পিনিং শেড হচ্ছে ৪ তলা বিশিষ্ট। এটা হয়েছে ৬৫ ভাগ এবং উইমিং এন্ড ডাইয়িং শেড এর কাজ হয়েছে ৪৫ ভাগ।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমীন জাহাঙ্গির মনে করেন, বর্তমানে দেশের বস্ত্র্রখাত একটি সম্ভাবনময় খাত। এ খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভানা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি। তাই এ ইনস্টিটিউটটি চালু হলে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা কারিগরী শিক্ষায় তাদের মেধার অবদান রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, ভোলাতে একটি পলিটেকনিক থাকলেও কোন ইনঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নেই। ফলে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবিও পূরণ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
গণর্পর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলী আবু সাইম খান বাসস’কে বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলো ছাড়াও আরো ৫টি ভবন ও স্থাপনার কাজ অচিরেই আরম্ভ করা হবে। এগুলো হলো, ২ তলা বিশিষ্ট প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, ২ তলার ওয়র্কশপ কাম লাইব্রেরি, ২ তলা বিশিষ্ট মিটিং শেড, জুট শেড ও একটি শহীদ মিনার। এছাড়া ইনস্টিটিউটের জন্য আরো কিছু স্থপনা নির্মিত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ইনস্টিটিউটের জন্য ভবন নির্মাণ কেন্দ্রীক কাজগুলো গণপূর্তের মাধ্যমে করা হচ্ছে। পরবর্তিতে টেকনিক্যাল সার্পোট সংক্রান্ত কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানতিনি।
বাসস/এইচ এ এম/কেইউ/১৩৩৫/নূসী