বাসস ক্রীড়া-১২ : জাপানকে হতাশ করে এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতলো কাতার

123

বাসস ক্রীড়া-১২
ফুটবল-এশিয়ান কাপ
জাপানকে হতাশ করে এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতলো কাতার
আবু ধাবী, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : ফেবারিট জাপানকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের শিরোপ জিতেছে কাতার। রেকর্ড ভঙ্গকারী আলমোয়েজ আলির অসাধারাণ পারফরমেন্সে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজকদের শিরোপা নিশ্চিত হয়।
ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটেই সুদানে জন্ম-গ্রহণকারী আলি এক্রোবেটিক বাই সাইকেল কিকে দলকে এগিয়ে দেন। ২৭ মিনিটে আবদেলাজিজ হাতিম ব্যবধান দ্বিগুণ করার পর ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে ৮৩ মিনিটে আকরাম আফিফ আবু ধাবীকে কাতারকে স্মরণীয় জয় উপহার দেন।
ম্যাচ শেষে কাতারি কোচ ফেলিক্স সানচেজ বলেছেন, ‘একাধারে সাতটি ম্যাচ জয়ের পর এই শিরোপাটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা দেশের জন্য ইতিহাস রচনা করেছি। আলমোয়েজের প্রথম গোলটা অবিশ্বাস্য ছিল। সে এমন একজন খেলোয়াড় যার প্রতিটি স্পর্শই যেন গোলের জন্য হয়।’
৬৯ মিনিটে তাকুমি মিনামিনোর গোলে জাপান কিছুক্ষনের জন্য হলেও ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু উজবেক রেফারি রাভশান ইরমাতোভের সিদ্ধান্তে প্রাপ্ত পেনাল্টিতে জাপানের আশাভঙ্গ হয়। ভিডিও রিভিউতে জাপানীজ অধিনায়ক মায়া ইয়োশিদার হ্যান্ডবলের বিষয়টি ধরা পড়ে। ম্যাচ শেষে হতাশ সাউদাম্পটন ডিফেন্ডার ইয়োশিদা বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক পরাজয় ছিল। তৃতীয় গোলটি মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন। কিন্তু এখানে কোন ব্যাখ্যা দেবার কিছু নেই। কাতার দুর্দান্ত খেলেছে। এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
এশিয়ান কাপের একটি একক আসরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৯ গোল করে আলি এক অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। সেমিফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কাতার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। আরব আমিরাত ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আলি ও ইরাকে জন্মগ্রহণকারী ডিফেন্ডার আসাম আল রাওয়ারির যোগ্যতা নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের এই প্রতিবাদ থেকে এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন আলিকে খেলার সবুজ সঙ্কেত দেয়। এর আগে কাতার কখনই এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পার করতে পারেনি। কিন্তু সব সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়ে তারা টুর্ণামেন্টে ১৬টি গোল করে ও রেকর্ড ৬টি ম্যাচে কোন গোল হজম করেনি। এদিকে এশিয়ান কাপের ফাইনালে কখনই পরাজিত না হওয়া জাপান সর্বশেষ ২০১১ সালে তাদের রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জয় করেছিল।
তবে মূলত আলির দারুন এক গোলেই ব্লু সামুরাইরা কালকের ফাইনালে প্রথমেই হতবাক হয়ে যায়। যার থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আট গোল করে ইরানের কিংবদন্তী আলি ডেই এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। এই গোলের পরপরই আলি দ্বিতীয় গোলও প্রায় করে ফেরেছিলেন। ইয়োশিদা দারুনভাবে তা আটকাতে না পারলে তখনই ব্যবধান দ্বিগুন হতে পারতো। তবে ২৭ মিনিটে আর ভুল করেননি হাতিম। আফিফের আরেকটি এসিস্টে হাতিম দুরপাল্লার শটে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন। টুর্নামেন্টে এটি ছিল আফিফের ১০ম এসিস্ট। ৬৯ মিনিটে মিনামিনো কাতারের রক্ষনভাগের ভুলে এক গোল পরিশোধ করেন।
বাসস/নীহা/১৫০০/স্বব