বাজিস-১ : জয়পুরহাটে ৬শ’ কৃষকের মাঝে মুগ ডালের বীজ বিতরণ

119

বাজিস-১
জয়পুরহাট-বিতরণ
জয়পুরহাটে ৬শ’ কৃষকের মাঝে মুগ ডালের বীজ বিতরণ
জয়পুরহাট, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : মুগ ডাল চাষের মাধ্যমে এক বছরে চার ফসল আবাদের আওতায় আনা এবং রাজস্ব খাতের অর্থায়নে মুগ ডালের প্রদর্শনীর জন্য সদর উপজেলার ৬০০ কৃষকের মাঝে শনিবার মুগ ডালের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলার কৃষি অফিস চত্বরে বীজ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান। এ সময় মুগ ডালের আবাদ ও শস্য নিবিড়তা তুলে ধরে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আখতারুজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার ও মিশু আকতার প্রমুখ।
কৃষি বিভাগ জানান, দৈনন্দিন দেহের ক্ষয় পূরণে মানুষের খাদ্যে প্রোটিন বা আমিষের ভূমিকা অপরিসীম। মাছ-মাংসের বিকল্প হিসেবে প্রতিদিন একজন মানুষের ৬০ গ্রাম পরিমাণ ডাল খাওয়া দরকার। আমিষের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে মুগ ডাল আমদানি কমানো লক্ষ্যসহ মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, উর্বরতা বৃদ্ধিতে ডাল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষি বান্ধব সরকার রাজস্ব খাতের আওতায় মুগ ডাল চাষের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর উপজেলার এক পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নের ২৮টি ব্লকের ২২৫ জন কৃষকের মাঝে বারি মুগ-৬ জাতের (ভিত্তি) বীজ, ২২৫ জনের মাঝে বারি মুগ-৬ জাতের (মানঘোষিত) বীজ এবং ১৫০ জনের মাঝে বিনা মুগ-৫ জাতের (ভিত্তি) বীজ বিতরণ করা হয়। ভিত্তি বীজ হচ্ছে, কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত সংরক্ষিত বীজ হিসাবে পরিচিত। মানঘোষিত বীজ হচ্ছে প্রত্যায়িত বীজ। এ বীজও কৃষক পর্যায়ে সংরক্ষণ ও পরবর্তীতে চাষ ও বিক্রি করা যাবে বলে জানান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম। সরিষা ফসল সংগ্রহের পর মাত্র ৫৮-৬০ দিনে মুগ ডাল উৎপাদন করা যায়। পরে আউস আবার আমন ধানের চাষ করা সম্ভব হয়। প্রতি বিঘা মুগডাল চাষের জন্য প্রতিজন কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১৪৫০/মরপা