বাসস দেশ-২০ : নিয়োগ ও প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ৪৬ জন গ্রেফতার

168

বাসস দেশ-২০
প্রশ্ন ফাঁস-গ্রেফতার
নিয়োগ ও প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ৪৬ জন গ্রেফতার
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : নিয়োগ ও ভর্তিতে প্রশ্নফাঁস এবং ডিজিটাল জালিয়াতির সবচেয়ে বড় দুটি চক্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, গত কয়েকদিনের চলমান অভিযানে ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রটির অন্যতম হোতা হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং মাসুদ রহমান তাজুলকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার ফলে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ফাঁস চক্রটির মূলোৎপাটন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
সিআইডি জানায়, সর্বশেষ কয়েকটি সাড়াশি অভিযানে নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াত চক্রটির মাস্টারমাইন্ড বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, মূল হোতা ৩৮তম বিসিএসে নন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মোল্যা, বিএডিসি’র সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনসহ মোট নয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের অঢেল অর্থ-সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা তারা প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতি করে আয় করেছেন। অলিপ কুমার বিশ্বাস বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির মাস্টার মাইন্ড। কয়েক বছরে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি দুই কোটি টাকা আয় করেছেন। ইব্রাহিম, হাফিজ, মোস্তফা, তাজুল ও বাঁধন বিসিএসসহ সকল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির মূল হোতা। তাৎক্ষনিক তদন্তে এদের পাঁচজনের প্রায় ২০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও সম্পদের সন্ধান পায় সিআইডি। গত কয়েকদিনের চলমান অভিযানে নয় জনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ৪৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যার মাধ্যমে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূল উৎপাটন করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত রানা ও মামুন নামের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এরপর প্রায় দেড় বছর তদন্ত ও সিআইডি’র অভিযানে মোট ৪৬ জনকে গ্রেফতার এবং মূলচক্র ধরা পরলো।
বাসস/সবি/এমএমবি/১৮৩৫/জেজেড