সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী

657

চট্টগ্রাম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : সিলেট সিক্সার্সকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের প্লে-অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী কিংস। আজ টুর্নামেন্টের ৩৮তম ও লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজশাহী কিংস ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্সকে। এই জয়ে ১২ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে থাকলো রাজশাহী। এই হারে প্লে-অফের আগেই বিদায় নিশ্চিত হলো সিলেটের। ১১ খেলায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে সিলেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিক্সার্স। প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনার লিটন দাসকে হারায় সিলেট। ৬ বলে ১০ রান করেন লিটন। এরপর বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন ও ইংল্যান্ডের জেসন রয়। ভালো শুরু করেও দু’জন ব্যর্থ হয়েছেন।
২টি করে চার ও ছক্কায় দুর্দান্ত খেলতে থাকা আফিফ ২৫ বলে ২৯ রান করে রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হন। ৮ বলে ১৩ রান করে রয় থামেন মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে। তাদের বিদায়ের পর সিলেটের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন সাব্বির রহমান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান। কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকারে পরিণত হওয়ার আগে সাব্বির ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন ।
তবে শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন পুরান। চারÑছক্কার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। পুরানের ঝড়ে শেষ ৮ ওভারে ৯৪ রান পায় সিলেট। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রান। ৬টি করে চার ও ছক্কায় মাত্র ৩১ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করেন পুরান। ১০ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অলক কাপালি। রাজশাহীর কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি উইকেট নেন।
প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা ছিলো না রাজশাহী কিংসের। এ ম্যাচ জিততে ১৯০ রান প্রয়োজন ছিলো তাদের। ভালো শুরু করতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লসের ব্যাটিং-এ রানের চাকা সচল ছিলো রাজশাহীর। কিন্তু দলীয় ৬৪ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে চার্লস অলোক কাপালির শিকার হয়ে বিদায় নিলে বড় জুটির প্রয়োজন ছিলো রাজশাহীর। কারণ ওই সময় ম্যাচ জিততে ৬৮ বলে ১২৬ রান দরকার ছিলো। ওভার প্রতি রান প্রয়োজন ছিলো ১১’র কিছুটা বেশি।
এ অবস্থায় মারমুখী হয়ে ওঠেন ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের লরি ইভান্স ও নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডসেট। সিলেটের বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকেন তারা। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বল মোকাবেলা করে ১০৯ রান যোগ করে ফেলে ইভান্স ও ডসেট।
ডসেট ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৮ বলে ৪২ রানে থামলেও, হাফ-সেঞ্চুরি তুলে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে আউট হন ইভান্স। তার ৩৬ বলের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি ছিলো। দলীয় ১৭৩ ডসেট ও ১৭৭ রানে ইভান্স আউট হলেও, ম্যাচ জিততে মোটেও বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীর। ২ ওভার বাকী রেখেই জয় পায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার ৮ ও সৌম্য সরকার ২ রানে অপরাজিত থেকে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন। সিলেটের পাকিস্তানী খেলোয়াড় সোহেল তানভীর ও অলক কাপালি ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট সিক্সার্স : ১৮৯/৫, ২০ ওভার (পুরান ৭৬*, সাব্বির রহমান ৪৫, রাব্বি ২/৩০)।
রাজশাহী কিংস : ১৯০/৫, ১৮ ওভার (ইভান্স ৭৬, দোয়েশ্চেত ৪২, তানভীর ২/২৭)।
ফল : রাজশাহী কিংস ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: লরি ইভান্স(রাজশাহী কিংস)।