এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

348

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শিশুশ্রম নিরসনে গঠিত “জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ৭ম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ কথা জানান।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইএলও প্রতিনিধিসহ এ কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয় , এ পর্যন্ত বিভিন্ন খাতের কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ১৮৬টি মামলা করা হয়েছে, এর মধ্যে ৫১টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ১৩৫ টি মামলা চলমান রয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কোন কোন খাতে কত শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে তার সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে দেশব্যাপী জরিপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শিশুশ্রম সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিং করছে এবং কোন কারখানা মালিক শ্রমে শিশুদের নিয়োগ দিয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রশিক্ষণ ও কর্মমূখি শিক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের সরিয়ে আনতে হলে সকলকে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে সরকার।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের যে কাজ শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োজিত শিশুদের খুঁজে বের করে আনতে হবে। তাদেরকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের আত্মকর্মসংস্থানে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কাজে কমিটিগুলোকে আরো সক্রিয় এবং শক্তিশালী করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর যাতে অর্ধ-শিক্ষিত না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হলে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।