বাসস বিদেশ-৫ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ : ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে জল্পনা কল্পনা

121

বাসস বিদেশ-৫
যুক্তরাষ্ট্র-ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ : ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে জল্পনা কল্পনা
ওয়াশিংটন, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান কি হতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনে তার অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে তীব্র কৌতুক শুরু করেছে।
কিন্তু ট্রাম্প কি আসলেই দুই বছর পরের ওই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন?
খবর এএফপি’র।
কোন কোন জরিপের মতে, ট্রাম্প্রকে তার দলের মনোনয়ন পেতেই গলদঘর্ম হতে হবে। প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই হতে পারে তার জন্যে এক কঠিন লড়াই।
সরকারের অধিকাংশ কার্যক্রমে অচলাবস্থার জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণেও ব্যর্থ হয়েছেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে তার প্রচারণা দলের সদস্যরা রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছিল কিনা বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলার এখনো সে ব্যাপারে তার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।
কোন প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য তারই দলের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। তবে এমনটা আগেও ঘটেছে।
১৯৭৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্ণর রোনাল্ড রিগ্যান রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর চার বছর পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ম্যাসাচুসেটস এর সিনেটর টেড কেনেডির তরফ থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হন।
১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ দলীয় মনোনয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্যাট বুচাননকে ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হন।
তবে তারা তিনজনই সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হন।
যদিও এখন পর্যন্ত কোন রিপাবলিকান বলেননি যে তিনি ট্রাম্পের দলীয় মনোয়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবেন। তবে বেশ কয়েকটি নাম ইতোমধ্যে শোনা গেছে।
ওহাইওর সাবেক গভর্ণর জন কাসিচ দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।
তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।
৬৬ বছর বয়সী মধ্যপন্থী রিপাবলিকান কাসিচও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করে দেননি।
মেরিল্যা-ের গভর্ণর ল্যালি হোগানও ট্রাম্পের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন। তিনি নভেম্বরে ডেমোক্র্যাট দুর্গে আঘাত হেনে একটি রাজ্যে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে ট্রাম্প কি আসলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা এ জল্পনা কল্পনা যখন তুঙ্গে তখন হোয়াইট হাউসের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস এর পরিচালক মার্সিডস স্ক্যালাপ সোমবার এ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরেন।
বাসস/কেএআর/১৬২০/জুনা