ভোজ্যতেলে এক স্তরে ভ্যাট নির্ধারণের সুপারিশ

409

ঢাকা,২৮ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বর্তমানের ন্যায় ১৫ শতাংশ হারে বহাল রেখে এক স্তরে ভ্যাট নির্ধারণের সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীরা।
সোমবার রাজধানীর পল্টনে বায়তুল খায়ের ভবনে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা এবং শুল্ক সংক্রান্ত সহায়তার বিষয়ে মতবিনিময় ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে সয়াবিন তেল পরিশোধন মিল মালিকরা এই সুপারিশ তুলে ধরেন।
ট্যারিফ কমিশন এবং বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফাকচারার্স এসোসিয়েশন যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে’র চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শেখ আব্দুল মান্নান ও শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী, বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক মোস্তাফা হায়দার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে ট্যারিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান ও সহকারি প্রধান মো. মাহমুদুল হাসান আলাদাভাবে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে এক স্তরে ভ্যাট নির্ধারণ করা হোক। এতে রাজস্ব পরিশোধ সহজ হয়। আমরা চাই বর্তমানের ন্যায় আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে বহাল রেখে এক স্তরে ভ্যাট নির্ধারণ হোক।’
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, একাধিক স্তরে ভ্যাট দিতে গিয়ে অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয়।এজন্য ভোজ্যতেলে একস্তরে ভ্যাট ব্যবস্থা আরোপ হলে ব্যবসায় কার্যক্রম সহজ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শেখ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষে আমরা সরকারকে যৌক্তিক সুপারিশ দিয়ে থাকি। শুল্কহার পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। এজন্য আমরা সবসময় ব্যবসায়ীদের মতামত নিয়ে যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণের সুপারিশ করি।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভারতে ২৫টি পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাচ্ছি। কিন্তু নন-ট্যারিফ বাঁধার কারণে আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছি না। কোথায় কোথায় আপনারা নন-ট্যারিফ বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন-এ বিষয়ে আমাদের অবহিত করুন, তাহলে সেই বাঁধাগুলোকে চিহ্নিত করে, সেসব বিষয়ে সমাধানের জন্য ভারত সরকারের সাথে কথা বলতে পারব।’
ট্যারিফ কমিশন ও ব্যবসায়ীদের আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজন উল্লেখ করে আব্দুল মান্নান বলেন, তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব রয়ে গেছে। এই দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। আমরা সবসময় আপনাদের সহযোগিতা চাই। তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব হবে।
প্রবন্ধে ট্যারিফ কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।