ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে একশ’ থেকে দুইশ’ বছরের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

394

ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বর্তমানে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আছি। ঢাকা শহরকে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে একশ’ থেকে দুইশ’ বছরের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে।
আজ রাজধানীর ফুলবাড়িয়াস্থ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও ‘আধুনিক নাগরিক সেবা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর ছেলে-মেয়েদের খেলাধূলার বিষয়টি মাথায় না রেখে কোন আইন প্রণয়ন করা যাবে না। প্রয়োজনে আবারও সিটি কর্পোরেশন আইন পরিবর্তন করা হবে। এক্ষেত্রে জনগণকে সম্পৃক্ত করে কর্মসূচি নিলে সাফল্য পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন কি-না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামী দিনেও এই মহানগর ও দেশের জন্য আপনাদের একসাথে কাজ করতে হবে। ফুটপাতে চলাচলে জনগণের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরকে স্বস্তিজনক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আধুনিক নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য সমন্বিত কর্তৃপক্ষ গঠনের কোন বিকল্প নেই। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই দীর্ঘস্থায়ীকরণের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে- গ্রাম হবে শহর। সেই আলোকে আমাদের কাজ করতে হবে। তাছাড়া গ্রামের আদলে শহরের সবুজায়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা ওয়াসা- এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে যাতে সমন্বয়হীনতা না থাকে সেদিকে গুরুত্বারোপ করা হয়। ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত করে মহানগরীর খাল ও চারপাশের নদীসমূহ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ তাদের সমস্যা ও মতামত তুলে ধরেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।