বাসস দেশ-২৫ : তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১৩ সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি

924

বাসস দেশ-২৫
১৩ সংস্থা-চুক্তি
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১৩ সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
ঢাকা, ৩১ মে, ২০১৮ (বাসস): তথ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে দিয়ে তার অধীন ১৩ দফতর ও সংস্থার সঙ্গে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এনুয়াল পারফরমেন্স এগ্রিমেন্ট-এপিএ)’ স্বাক্ষর করেছে ।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে ১৩টি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি পদ্ধতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে জাতীয় বাজেটে যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয় তা অর্জন করার জন্য কর্মকৌশল তৈরি করে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হচ্ছে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে লক্ষ্য অর্জনের পথে কোথাও অদক্ষতা, ঘাটতি বা গাফিলতি আছে কি না তা সহজেই ধরা যায়।’
তিনি বলেন, ‘এই চুক্তিতে লক্ষ্য অর্জনের কর্মপদ্ধতি ও সময় কাঠামো উল্লেখ থাকে এবং প্রতি অর্জনের জন্য নম্বর থাকে। ফলে, সংস্থাগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে এ চুক্তি।’ ‘চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে চুক্তির নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আপনারা কাজ করবেন এবং চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করবেন। লক্ষ্যটুকু অর্জন করলেই যে স্বস্তি নিশ্বাস ফেলবেন তা ঠিক না, প্রয়োজনে নির্ধারিত লক্ষ্যের বেশিও করা যাবে’, সংস্থা প্রধানদের নির্দেশনা দেন হাসানুল হক ইনু।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পাদিত এপিএ’র ৯৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান তথ্য সচিব।
তদারকি জোরদার হলে প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে সেগুলো যেন আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে করতে পারি, নির্বাচনের আগে সকল শক্তি নিয়োগ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।’
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি), বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, গণযোগাযোগ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট।
বাসস/তবি/এমএআর/২০৩৫/-শহক