বাসস দেশ-২০ : গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল শরিফুল : র‌্যাব

179

বাসস দেশ-২০
হলি আর্টিজান-গ্রেফতার
গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল শরিফুল : র‌্যাব
ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় শুক্রবার র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃত এই জঙ্গিনেতা হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা ছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে অর্থ সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও হামলাকারী নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, জামা’আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ’র (জেএমবি) শীর্ষনেতা শরিফুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রেজাউল করিম হত্যা মামলার মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামী।
এতে বলা হয়, তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার খামারপাড়ায়। সে বাগমারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং ২০১০ সালে রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ সেশনে ইংরেজী বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হয়। সে ২০১৩ সালে অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নের সময় আহসান হাবিব ওরফে শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে যুক্ত হয়। প্রথমত সে শোভনের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রিক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরতদের নিয়ে গঠিত একটি উগ্রবাদী গ্রুপে যুক্ত হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা অনলাইন ভিত্তিক উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করতো। পরবর্তীতে শোভনের মাধ্যমে রাজশাহীতে তার সঙ্গে অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি নেতা তামীম চৌধুরীর পরিচয় হয়। জেএমবি’র আমির সারোয়ার জাহান ও অন্যতম জঙ্গি শীর্ষনেতা তামীম চৌধুরীর একত্রিকরণে তার (জঙ্গি নেতা শরিফুল) বিশেষ ভূমিকা ছিল ।
র‌্যাব জানায়, হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানাধীন একটি আস্তানায় সারোয়ার জাহান, তামীম এবং শরিফুলসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সদস্যরা বৈঠক করে। এছাড়া পরবর্তীতে ঢাকায় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব বৈঠকেই শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জঙ্গি শরিফুলও অংশগ্রহণ করেছিল। হলি আর্টিজান হামলার আগে গ্রেফতারকৃত শরিফুল ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করার পর সে আত্মগোপনে চলে যায়। এ সময় অপর জঙ্গি নেতা মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন তার সঙ্গে ছিল। আত্মগোপন থাকা অবস্থায় তারা মোট ৩৯ লাখ টাকা প্রেরণ করে, যা হলি আর্টিজানে হামলায় খরচ করা হয়েছে।
র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম’কে হত্যা করার বিষয়ে জঙ্গি শরিফুল প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থানীয় জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে রেকি ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং গতিবিধি নজরদারি করা হয়েছিল। শরিফুলের নেতৃত্বে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।
বাসস/সবি/এমএমবি/১৮১৫/-আসচৌ