ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জলবায়ু সংশ্লিষ্ট দুর্যোগসমূহের প্রভাব মোকাবিলা’ বিষয়ক এক উন্মুক্ত আলোচনায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ‘কার্বন বাজেটিং’, ‘কার্বন বিহীন উৎপাদন পথ’ এবং ‘নি¤œ-কার্বন শিল্পায়ন’ এর মতো বিশেষ পরিকল্পনাসহ জলবায়ু ও দুর্যোগ সৃষ্ট বহুমাত্রিক ঝুঁিকর কথা বিবেচনায় রেখে সম্প্রতি যুগান্তকারী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করেছে যা পরবর্তী ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়নে আমাদেরকে পথ দেখাবে”।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলে জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদক্ষেপ সন্নিবেশিত হয়েছে। জিডিপি’র একভাগেরও বেশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ব্যয় করছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি খাতকে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষিখাতে রূপান্তরিত করছি। সারাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদ্দন শতকরা ২২ থেকে ২৪ ভাগে উন্নীত করার পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। ইউনেস্কোর ঐতিহ্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি ‘সুন্দরবন’ এর সংরক্ষণে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ঝুকি হ্রাস বন্ধ করতে হলে আমাদেরকে এজেন্ডা-২০৩০ এবং প্যারিস চুক্তি ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক সত্যিকারভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বৃহৎ কার্বন উদগীরণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে গ্রিণ হাইজ গ্যাস উদগীরণ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে”।
উন্মুক্ত আলোচনার শুরুতে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ্ রোজম্যারি ডিকার্লো, ইউএনডিপি’র প্রশাসক আসিম স্টেইনার, বিশ্ব জলবায়ু সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী পাভেল কাবাত, ইনভায়রনমেন্ট সিকিউরিটি প্রোগ্রামের গবেষণা সহকারি মিজ্ লিন্ডসে গেটস্্হে। নিরাপত্তা পরিষদেও জানুয়ারি মাসের সভাপতি ডোমিনিকান রিপাবলিক এই সভার আয়োজন করে যেখানে প্রায় আশিটি দেশ বক্তব্য প্রদান করে।