দেশে বছরে সাত হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে : সেমিনার

438

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশের শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন-ই বাহক রোগে আক্রান্ত এবং দেশে প্রতি বছর প্রায় সাত হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশে প্রথম বারের মত থ্যালাসেমিয়া ওষুধ উৎপাদন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জুলফারের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড।
রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি বলেন, আরব আমিরাতের উন্নয়নের পেছনে বাংলাদেশের জনগণেরও অনেক অবদান রয়েছে। জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের মানুষের জন্যও ভালো কিছু করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে গত ১১ জানুয়ারী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জুলফার বাংলাদেশ আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলফার বাংলাদেশের সিইও সেলিম সোলায়মান, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও তাদের অবিভাবক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও জুলফারের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুলফার বাংলাদেশ এর সিইও সেলিম সোলায়মান বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে থাকার অংশ হিসেবে আমরা বাংলদেশে প্রথমবারের মত আয়রন চিলেটর হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধ ডেফেরাসিরক্স চিলোভা উৎপাদন শুরু করেছি।
অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া, এর প্রকোপ, প্রতিকার এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এসকল কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।