বাসস দেশ-১৪ : শিল্পায়নের প্রভাবজনিত দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতার আহবান

286

বাসস দেশ-১৪
কর্মশালা-নৌপরিবহন সচিব
শিল্পায়নের প্রভাবজনিত দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতার আহবান
ঢাকা, ৩১ মে, ২০১৮ (বাসস) : রাজধানীতে অনুষ্ঠিত আজ এক কর্মশালায় বক্তারা শিল্পায়নের প্রভাবজনিত দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা কম বিধায় দায়বদ্ধতাও কম। তবে শিল্পায়নজনিত দূষণ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।’
রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে ‘সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো’ সংক্রান্ত এই কর্মশালায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার মঞ্জুরুল কবির বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় সচিব বলেন, মানুষের মধ্যে নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন এবং উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তারা উৎপাদনও বাড়িয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি শিল্প কারখানা থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড যে পরিবেশ দূষণ করছে তা প্রতিরোধে বাস্তবমুখী কোন পদক্ষেপ নেই।
তিনি বলেন, শুধু শিল্পায়নই নয় রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোতে যানবাহন থেকে যে কালো ধোয়া বের হচ্ছে তাও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। রাজধানীসহ এর আশপাশের নদী-খাল-বিলগুলো দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। এতেও আমাদের পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা শহরের বর্তমান পরিবেশ এবং কয়েক বছর আগের পরিবেশ সম্পর্কে তুলনামূলক বক্তব্য তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘আমাদের গার্মেন্ট শিল্প থেকে রিটার্ণ পাচ্ছি, কিন্তু তার বিপরীতে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু নদী দূষিত করে ফেলেছি। আজকে এসব নদীকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে, সভা-সেমিনার করছি, কিন্তু দূষণ প্রতিরোধে যা করণীয় তা করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আসলে এসব সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ান প্লানেট সামিট’ এ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে রাখার বিষয়ে সকল সদস্য দেশ ঐক্যমত প্রকাশ করে প্যারিস ডিক্লারেশনে স্বাক্ষর করে।
‘প্যারিস ডিক্লারেশন’ এর পর চলতি বছরের এপ্রিলে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) সদর দপ্তরে জাহাজ হতে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে করণীয় বিষয়সমূহ নির্ধারিত হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অনুষ্ঠানের কনভেনর হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে (আইএমও) মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন কমিটির সভায় গৃহীত মেরিন পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আলোচিত বিষয়সমূহ তুলে ধরেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৭৫৫/-শহক