বাজিস-৭ : পিরোজপুরে আমন চালের উৎপাদন অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গেছে

166

বাজিস-৭
পিরোজপুর-আমন উৎপাদন
পিরোজপুরে আমন চালের উৎপাদন অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গেছে
পিরোজপুর, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় এবার আমন চাল এর উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। চলতি বছরে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭ হাজার ৯ শত ১৫ মেঃ টন নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩ শত ৯৫ মেঃটন যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ হাজার মেঃটন বেশি।
পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৭০ হেক্টরে ২০ হাজার ১ শত ৪৩ মেঃটন, ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৩ শত ৭০ হেক্টরে ১৩ হাজার ৬১ মেঃ টন, কাউখালীতে ৪ হাজার ৬ শত ২০ হেক্টরে ৮ হাজার ৬ শত ৫১ মেঃ টন, নেছারাবাদে ৯ হাজার ২ শত ৪৫ হেক্টরে ১৫ হাজার ৯ শত ৯৪ মেঃটন, নাজিরপুরে ৬ হাজার ৯ শত ৪১ হেক্টরে ১৪ হাজার ৫ শত ৭০ মেঃটন, ভান্ডারিয়ায় ৮ হাজার ১ শত ৯৫ হেক্টরে ১৬ হাজার ৫ শত ২৫ মেঃ টন এবং মঠবাড়িয়ায় ২০ হাজার ২ শত হেক্টরে ৪১ হাজার ৪ শত ৪৮ মেঃটন চাল উৎপাদিত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানিয়েছেন ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে হাইব্রিড, উফশী, স্থানীয় রোপা, স্থানীয় বোনা মিলিয়ে ৬৪ হাজার ৬ শত ৪১ হেক্টরে আমনের চাষ করা হয় এবং চাল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩ শত ৯৫ মেঃটন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু হেনা মোঃ জাফর বাসসকে জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপদেশ অনুযায়ী কৃষকরা ব্যবস্থা নেওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ মাঠে মাঠে ঘুরে পাতামোড়ানো এবং পামরী পোকার দমনে আলোক ফাঁদ এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী চাষিরা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সহজেই পোকা দমন ও বিস্তার রোধ সম্ভব হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/রশিদ/১৫৪০/নূসী