বাসস দেশ-২৬ : বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথ প্রদর্শক মধুসূদন দত্ত : এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী

310

বাসস দেশ-২৬
স্বপন-মধু-মেলা
বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথ প্রদর্শক মধুসূদন দত্ত : এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
যশোর, ২২ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি বলেছেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথ প্রদর্শক। অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি ছিলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে সপ্তাহব্যাপি মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মধুসূদন দত্ত উপলব্ধি করেছিলেন মাতৃভাষা ছাড়া প্রতিভা বিকাশ সম্ভব নয়। তাই তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সেই থেকে শুরু হয় বাংলা সাহিত্যের জাগরণ। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি, মো. নাসির উদ্দীন এমপি, যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান।
এবারের মেলায় সার্কাস, নাগরদোলা ছাড়াও কুটির শিল্প ও গ্রামীণ পসরার প্রায় ৫০০ স্টল বসেছে।
আলোচনা সবার আগে প্রতিমন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী মধু মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এই মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন মহাকবির জীবনীর উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সার্কাস, ইঞ্জিন ট্রেন, মৃত্যুকুপ ও বিসিকের স্টল বসেছে।
প্রতিদিন কবির সৃষ্টি, সাহিত্য ও জীবনীর উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করবেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি সাহিত্যিকগণ। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মধু মঞ্চে দেশের বরেণ্য খ্যাতিমান শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বাসস/সবি/এমএন/২০০৫/অমি