পাঁচ বছরে ১০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : আ.ক.ম. মোজাম্মেল

340

ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী ৫ বছরে ১০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আজ মঙ্গলবার রাজবাড়ী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ ৫টি নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আজ মন্ত্রণালয়ৈর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ সময় তিনি আরো জানান, প্রতিটি বাড়ির খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা। যে সব অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব জমি নেই তাদের জমির ব্যবস্থা করে বাড়ি করে দেয়া হবে।
আ. ক. ম মোজাম্মেল বলেন, সনদের জাল ঠেকাতে বিতর্কহীন মুক্তিযোদ্ধাদের সাত ধরনের বার কোড সমন্বয়ে আধুনিক সনদপত্র প্রদান করা হবে। সকল সনদপত্র ওয়েব সাইটে দেয়া থাকবে ফলে কেউ আর জাল সনদপত্র ব্যবহার করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। বাছাইতে ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের সরকারি ভাতা বন্ধ করে দেয়া হবে। যে কেউ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করতে পারবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দাফনের খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে । মাসিক ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে।
বর্তমান সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়নে জনগণের চোখ খুলে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও মিথ্যার রাজনীতিকে লালকার্ড দেখিয়েছেন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী , রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আবদুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রকিব খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারবৃন্দ।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রী ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ রাজবাড়ী সদর, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর পরে সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী যশোর জেলার খাজুরা নামক স্থানে শহিদ মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর স্মৃতি ফলক নির্মাণের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন এবং কাজের উদ্বোধন করেন।