বাসস বিদেশ-১ : মেক্সিকোতে জ্বালানী তেলের লাইন বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯

181

বাসস বিদেশ-১
মেক্সিকো-জ্বালানী-বিস্ফোরণ
মেক্সিকোতে জ্বালানী তেলের লাইন বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯
তালাহুয়েলিলপান (মেক্সিকো), ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে জ্বালানী লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে রোববার ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এদিকে কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার শপথ নিয়েছে। শনিবার রাতে হিদালগো রাজ্যে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ সৎকার করা শুরু করেছে। কর্মকর্তারা মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জর্জ আলকোসার বলেন, হাদালগোর হাসপাতালে ৬৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যান্যদের বিশেষ চিকিৎসার জন্য মেক্সিকো সিটিতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরের ৮০ শতাংশ স্থান পুড়ে গেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তল্লাশী অভিযান শেষ করার আগেই ছয় জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে শুক্রবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।’
হিদালগো রাজ্যের প্রসিকিউটর বলেন, নিহতদের মধ্যে ৫৪ জনকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের সনাক্ত করার জন্য ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
সিজার জিমেনেজের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য একটি চার্চে তার মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তার বহু আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এক নারী ‘সে চিরকালের জন্য চলে গেছে।’ বলে মাতম করছিলেন।
একটি সংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রিয়জনরা নিখোঁজদের ছবি দেখাচ্ছেন। মোইসেস মেজিয়া বলেন, ‘এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে-ঘুরতে আমরা ক্লান্ত।’ তার স্ত্রী কারিনা উগালদে ও বোন অঞ্জেলিসা নিখোঁজ রয়েছেন।
অপর ব্যক্তি অ্যান্টোনিও গারসিয়া তার ১৭ বছর বয়সী ভাতিজা লুপিলোর খোঁজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা সে কি ভেবে সেখানে গিয়েছিল।’তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাকে সব সময় স্টেশন থেকেই গ্যাসোলিন কিনতে দেখেছি। আমি বুঝতেই পারছিনা সে কেন সেখানে গ্যাসোলিন চুরির জন্য গেল।’
তালাহুয়েলিলপান শহরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তেলচুরির জন্য একটি পাইপলাইন ফুটো করলে শত-শত মানুষ সেখানে তেল সংগ্রহ করতে যায়।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অব্রাদোর শনিবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই বামপন্থী মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। তিনি তেল চুরির ক্রমবর্ধমান এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বাসস/কেএআর/১১১০/কেজিএ