বাজিস-৪ : জয়পুরহাটে বিটি বেগুন চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

300

বাজিস-৪
জয়পুরহাট-বিটি বেগুন
জয়পুরহাটে বিটি বেগুন চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা
জয়পুরহাট, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজস্ব খাতের আওতায় বাস্তবায়িত বারি-৪ জাতের বিটি বেগুন চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন স্থানিয় কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ৫০ শতাংশ জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চকদাদড়া গ্রামের কৃষক মোস্তাক হোসেন বিটি বেগুন চাষ করেন । গত বছর ২ অক্টোবর জমিতে বিটি বেগুনের চারা লাগানো হয়। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বেগুন তোলা শুরু হয়। এখন প্রতি সপ্তাহে ৮/১০ মণ বেগুন তুলতে পারছেন। জমিতে কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার না করে ফেরোমন ফাঁদ দিয়ে পোকা দমন করেছেন বলে জানান অপর কৃষক দোলোয়ার হোসেন। বাজারে বিষমুক্ত সবজির চাহিদাও বেশি থাকে। প্রথম দিকে আরও বেশি দামে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিটি বেগুন বাজারে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যেখানে অন্যান্য বেগুন ১০/১৫ টাকা কেজি। স্থানিয় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের শেখ পাড়া, ধলাহার, চাঁদপুর, বালিয়াতৈড় গ্রামের কৃষকরা বারি-৪ জাতের বিটি বেগুন চাষে লাভবান হয়েছেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ। স্বাদের দিক থেকেও অন্যান্য বেগুনের চেয়ে অনেক ভাল ও সু-স্বাদু হচ্ছে বারি-৪ জাতের এ বিটি বেগুন। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম বলেন, বিটি বেগুন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি ভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চকদাদড়া গ্র্রামের কৃষক মোস্তাক হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের বিটি বেগুন চাষে সফলতা দেখে আশ পাশের অনেক কৃষক বিটি বেগুন চাষে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন এবং চাষ করছেন। সদর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিসহ জেলায় এবার ৬০ হেক্টর জমিতে বিটি বেগুনের চাষ হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১০৪৫/নূসী