নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

315

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ব্যবাসায়িক লোভ সংবরনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর বিজয়নগরে ফারস হোটেলে দেশের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় গ্রেডিং পদ্ধতির প্রবর্তন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী আজ এ কথা বলেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অনেকে এসএসসি-এইচএসসিতে ‘এ’ প্লাস পেয়ে থাকে। কিন্তু তারা সবাই কি সেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে? তেমনি আপনাদের যারা ‘এ+’ প্লাস ও ‘এ’ গ্রেড পেলেন আমরা আশা করি সরকারের দেয়া এই স্বীকৃতিটুকু ধরে রাখবেন। রেস্তোরাঁর ভালো মান বজায় রাখতে হবে। এখন যদি ব্যবসায়িক লোভ ত্যাগ না করতে পারি তাহলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেকটাই কঠিন হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে শুধু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, রেস্তোরাঁয় সবুজ স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এখানকার মান এ প্লাস অর্থাৎ উত্তম। কমলা রংয়ের স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এটি অনিরাপদ। কমলা স্টিকারযুক্ত রেস্তোরাঁগুলো এক মাসের মধ্যে রেস্তোরাঁর মান ভালো না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল হবে। ভোক্তা ও ভোজনরসিকদের স্বার্থে ‘এ প্লাস’, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এই চার ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা মহানগরীর হোটেল ও রেস্তোরাঁকে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলের ২ তারিখে কস্তুরী হোটেলে স্টিকার লাগিয়ে এই কার্যক্রমের পরীক্ষার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয় এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এসব এলাকার মোট ১৮টি ‘এ+’ এবং ৩৯টি ‘এ’ গ্রেডের স্টিকার দেয়া হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বক্তৃতা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম সরকার।