বাসস দেশ-১২
আসাদ-দিবস-পালন
নানা কর্মসূচিতে শহীদ আসাদ দিবস পালিত
ঢকা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : নানা কর্মসূচিতে আজ রোববার শহীদ আসাদ দিবস পালিত হয়েছে।
তদানিন্তন পাকিস্তানের স্বৈরাচার আইয়ুব খানের পতনের দাবিতে মিছিল করার সময় ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান নিহত হন।
শহীদ আসাদ হচ্ছেন ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনের পথিকৃৎ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন। অন্য দু’জন হচ্ছেন শহীদ রস্তম ও শহীদ মতিউর।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এ উপলক্ষে আজ সকালে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের ৫০ বছর পালন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে শহীদ আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কমিটির সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় গণফ্রন্ট-এর সমন্বয়ক টিপু বিশ^াস, বাসদ মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়িকা শাহানুর, মো. মোতাছিম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে জোটের নেতৃবৃন্দ শহীদ আসাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় শহীদ আসাদের আত্মার শান্তি কামনায় ফাতেহা পাঠ ও ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, শহীদ আসাদ ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে মৃত্যুকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে এম.এ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবির স্বপক্ষে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আসামীদের মুক্তি দাবির আন্দোলনে আসাদের মৃত্যু পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে। যা পরবর্তীতে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে তরান্বিত করে।
২০১৮ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য শহীদ আসাদকে মরণোত্তর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
বাসস/সবি/এমএন/১৭১৫/কেকে