বাসস ক্রীড়া-৫ : এমবাপ্পে, কাভানির হ্যাটট্রিকে পিএসজি ৯-০ গোলে জয়ী

126

বাসস ক্রীড়া-৫
ফুটবল-লিগ ওয়ান
এমবাপ্পে, কাভানির হ্যাটট্রিকে পিএসজি ৯-০ গোলে জয়ী
প্যারিস, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : কিলিয়ান এমবাপ্পে ও এডিনসন কাভানির হ্যাটট্রিকে লিগ ওয়ানে বিশাল জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। শনিবার ঘরের মাঠে গুইনগ্যাম্পকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে রেকর্ড গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে এর আগে কখনই কোন ম্যাচে এত বড় জয় পায়নি পিএসজি।
টেবিলের তলানিতে থাকা গুইনগ্যাম্পের বিপক্ষে পিএসজির এটি ছিল একটি মধুর প্রতিশোধ। চলতি মাসের শুরুতে লিগ কাপে এই গুইনগ্যাম্পের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে টানা ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের। প্রায় এক বছর আগে ডিওনের বিপক্ষে ৮-০ গোলের জয়কেও ছাড়িয়ে গেছে কালকের ব্যবধান। যদিও ১৯৯৪ সালে কোটে শদের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ কাপে ১০-০ গোলের জয়টি এখনো পর্যন্ত পিএসজি’র সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিলির থেকে ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে পিএসজি। লিলির থেকে দুই ম্যাচও কম খেলেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মৌসুমের প্রথম ১৯ ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট হারানো পিএসজি এবার লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবার মিশনে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
কালকের ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারও দু’টি গোল করেছেন। এমবাপ্পে ১৪ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ১৭টি গোল। তবে ম্যাচের ১৯ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির ইনজুরির কারনে মাঠত্যাগ কোচ থমাস টাচেলকে চিন্তিত করে তুলেছে। আগামী মাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র লড়াইয়ে ভেরাত্তির খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টাচেল বলেছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ তার মাঠের বাইরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কোর ইনজুরি সবকিছু বদলে দিবে। মার্কোকে ছাড়া খেলাটা সম্পূর্ণই ভিন্ন, আমার কাছে মনে হচ্ছে ইনজুরিটা গুরুতর।’
নিজেদের মাঠে দূর্বল দল গুইনগ্যাম্পের বিপক্ষে এগিয়ে যেতে পিএসজি খুব একটা সময় নেয়নি। ১১ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ডানি আলভেসের পিন পয়েন্ট পাস থেকে নেইমার মৌসুমের ১৯তম গোল করেন। পিএসজির গোলগুলোর প্রায় সবকটিতেই নেইমারের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা ছিল। বিরতির আট মিনিট আগে এমবাপ্পের সাথে বল আদান প্রদান করে নেইমার ফ্রেঞ্চ তারকাকে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেছেন। বিরতির ঠিক আগে কাভানির পাসে এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন।
বিরতির পর ম্যাচটি আরো বেশি একপেশে হয়ে উঠেছিল। হুয়ান বারনাটের লো ক্রসে ৫৯ মিনিটে ও ডি মারিয়ার সুইগিং ডেলিভারি থেকে কাভানি পরপর দুই গোল করেন। পাঁচ গোলে পিছিয়ে থেকে গুইনগ্যাম্প পুরোপুরি নিজেদের হারিয়ে ফেলে। ৬৮ মিনিটে এমবাপ্পের সহায়তায় নেইমার নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৭৫ মিনিটে কাভানির শট পোস্টে লেগে ফেরত আসলেও ভিএআর’র সহায়তায় পিএসজিকে গোল উপহার দেয়া হয়। পাঁচ মিনিট পর এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ৮৩ মিনিটে ফুল-ব্যাক থমাস মেনিয়ার দলের পক্ষে নবম গোলটি করেন।
বাসস/নীহা/১৬৫০/মোজা/স্বব