বাজিস-৪ : মধুমতি নদীতে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে

191

বাজিস-৪
নড়াইল-কালনা সেতু
মধুমতি নদীতে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে
নড়াইল, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সহজতর চলাচলের জন্য নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী কালনাঘাটে মধুমতি নদীতে প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৬ লেনের এ সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ক্রস বর্ডার ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।সেতুটি নির্মিত হলে নড়াইল, যশোর, খুলনা ও স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল অঞ্চলের মানুষের চলাচল ও পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ছয় লেনের কালনা সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ।ছয় লেনের এ সেতুর চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির যানবাহন এবং দু’টি লেনে কমগতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১মিটার। উভয় পাশে এপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার।
সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, গত বছরের ২৪ জুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি সম্পন্ন হয়। নভেম্বরে সেতুর টেস্ট পাইলিং শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে মূল পাইলিংয়ের কাছ চলছে। ৩৬ মাসে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। নেলসন লোস আর্চ ধরনের এ সেতুটি দেশের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন সেতু হচ্ছে এটি। জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জাইকার সহযোগিতায় ও দেশীয় অর্থে তিনটি কোম্পানি যৌথভাবে এ সেতুর নির্মাণ কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ক্রস বর্ডার ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক কে এম আতিকুল হক বলেন, নির্মিতব্য কালনা সেতু হবে দেশের মধ্যে অন্যতম দৃষ্টি নন্দন ৬ লেনের সেতু। সেতুটির নির্মাণ শেষ হলে বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক পথে অল্প খরচ ও কম সময়ে পণ্য পরিবহণের সুযোগ পাবেন আমদানি-রফতানিকারকরা।
নড়াইলের নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মোল্লা বলেন, সেতুটি নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান আগের তুলনায় অনেক বাড়বে।রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১২০০/নূসী