বাসস ক্রীড়া-১১ : এশিয়া কাপ শেষে কলম্বিয়া ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন কুইরোজ

194

বাসস ক্রীড়া-১১
কুইরোজ-কলম্বিয়া
এশিয়া কাপ শেষে কলম্বিয়া ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন কুইরোজ
আবু ধাবি, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : কলম্বিয়া ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ইরানের বর্তমান বস কার্লোস কুইরোজ। চলতি এশিয়া কাপ শেষে নতুন দায়িত্ব নিতে যাওয়া রিয়াল মাদিদের সাবেক কোচ বলেন কলম্বিয়ার দায়িত্ব পেয়ে তিনি গর্বিত।
নতুন দায়িত্ব নিতে যাওয়ার পথে থাকলেও চলতি এশিয়া কাপের শিরোপা ইরানকে পাইয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কুইরোজ। ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ পুরস্কার এনে দিতে দেশটির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানান আট বছর যাবত ইরানের দায়িত্ব পালন করা এ পর্তুগীজ।
এশিয়া কাপের শেষ ১৬ তে ওমানের বিপক্ষে ইরানের ম্যাচের আগে এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কুইরোজ বলেন,‘ কলম্বিয়া আমার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে এবং বিশ্বাস রেখেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।’
‘চমৎকার কিছু খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে কলম্বিয়া জাতীয় দল খুব ভাল একটি দল এবং তারা ফিফা র‌্যাংকিংয়ের (১২তম) সম্মানজনক অবস্থায় আছে। এমন একটি দলের কোচ হওয়া অত্যন্ত সম্মানের এবং এ জন্য আমি গর্বিত।’
রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপে ইরানকে প্রায় নক আউট পর্বের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাওয়া ৬৫ বছর বয়সী এ কোচ আরো বলেন,‘তবে এই মুহূর্তে আমার দায়িত্ব ইরানের।’ ‘এশিয়া কাপ শেষ হলে আমি কলম্বিয়াকে নিয়ে চিন্তা করব।’
বিশ্বকাপে ভাল করা সত্ত্বেও ইরান ফুটবল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নতুন করে চার বছরের চুক্তির প্রস্তাব না পাওয়ায় কিছুটা বিস্মিত পর্তুগালের সাবেক এ কোচ।
বিষয়টি স্বীকার করে কুইরোজ বলেন,‘ সত্যি বলতে আমি কিছুটা বিস্মিত। এ ধরনের পরিবেশ আমি সৃস্টি করিনি-এটা ফেডারেশেনের সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন,‘ কোচদের ভবিষ্যত ফেডারেশনের সভাপতির হাতে। তারা অন্য কিছু চাচ্ছে এবং নিশ্চিতভাবেই আমাকে অন্য কোন পথ বেছে নিতে হবে।’
এশিয়া কাপ শিরোপা জয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ফেবারিটের তালিকায় আছে ইরান এবং দেশটির ওপড় আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশৃংখলা সত্ত্বেও তার খেলোয়াড়দের একাগ্রতার প্রশংসা করেন কুইরোজ।
-মানসিক নিষেধাজ্ঞা-
তিনি বলেন,‘ যারা সব কিছুর উর্ধে দেশের জার্সির মূল্য দিয়েছে আমি সেই সকল খেলোয়ড়দের নির্বাচন করার চেস্টা করেছি।’
আগামীকাল ওমানের বিপক্ষে স্পস্ট ফেবারিট ইরান দলের কোচ আরো বলেন, ‘আপনি মনোভাব এবং চরিত্রের সঙ্গে কখনো আপোষ করতে পারেন না। হয় আপনার আনুগত্য, উৎসাহ এবং মনোভাব থাকবে অথবা থাকবে না এটা আপনি কিনতে পারবেন না।’
‘জনগণ মানসিক নিষেধাজ্ঞায় ভুগছে যা দেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলছে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে বাস করতে পারলে চমৎকার জনগণ এবং তাদের যে গতি আছে তাতে তাদের ভালবাসায় আপনি আবদ্ধ হবেন।’
ইরানের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি বিশেষ বন্ধন রয়েছে এবং এটা ছিন্ন করা কখনোই সহজ নয় বলে মনে করছেন কুইরোজ।
তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দেও ভালবাসি, তারা কখনোই হাল ছাড়েনা এবং অত্যন্ত কঠোর চরিত্রের তারা সব সময় উন্নতি করতে চায়, লড়াই করে। তারা দেশ ও জার্সির প্রতি নিবেদিত। আমার জীবনে দেখা এটাই সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী ফুটবল পরিবার।’
এক নাগারে তিন বার এশিয়া কাপ ফুবলের শিরোপা জিতেছে ইরান। তবে ১৯৭৬ সালের পর আর কখনো শিরোপা জিততে না পারাটা একটা রহস্যের বিষয়।
তবে এবার শিরোপা জয়ে বেশ আশাবাদী কুইরোজ।
বাসস/এএফপি/স্বব/১৭৩৫/এএমটি