বাজিস-৩ : পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী রোগীর সংখ্যা পুরুষের দ্বিগুনে পৌঁছেছে

153

বাজিস-৩
পিরোজপুর-কমিউনিটি ক্লিনিক
পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী রোগীর সংখ্যা পুরুষের দ্বিগুনে পৌঁছেছে
পিরোজপুর, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : জেলার পল্লী এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা নারী রোগীর সংখ্যা পুরুষের প্রায় দ্বিগুনে পৌছেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার ৫২ ইউনিয়নের ১৬৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৮লক্ষ ৬৮ হাজার ৫শ’ ৩৯ জন রোগী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। এবং এর মধ্যে নারীর সংখ্যা হচ্ছে ৫ লক্ষ ৫০ হাজা ৮শ’ ৬১ জন।
পিরোজপুরের পল্লী অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পল্লী এলাকার মানুষের চিকিৎসা ও সেবা গ্রহণের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ক্লিনিকে এখন গর্ভবতী মা- দের স্বাভাবিক সন্তান প্রসাব করানো হচ্ছে সযতেœ। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার ৫২ টি ইউনিয়নের ১৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৮লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৩৯ জন রোগী চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা হচ্ছে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৬১ জন । একই সময় ২ লাখ ৮৩ হাজার ১৮১ জন পুরুষ এবং ৩৪ হাজার ৫২৬ জন শিশু ও চিকিৎসা এবং ওষুধ নিয়েছে। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উল্লেখিত সময় ৬ হাজার ৬৩৫ জন পুরুষ ১১ হাজার ৬৮০ জন মহিলা এবং ১ হাজার ৯৮৩ জন শিশু রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনা এবং ঢাকার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলার ১৬৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ১৬৩ টি ক্লিনিক চালু করেছে এবং ৫ টির নির্মাণ কাজ চলছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ফারুক আলম বাসসকে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী এলাকার নারী-পুরুষ-শিশুর স্বাস্থ্য সেবা দ্বোর-গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে। ২০০১ পরবর্তী সরকার এর নির্দেশে পিরোজপুরসহ দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে পল্লী এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়। ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যায় ক্রমে বন্ধ হওয়া ক্লিনিক চালুর পাশাপাশি নতুন ক্লিনিক ভবণ নির্মাণ করছে। জ্বর, আমাশয়, গ্যাষ্ট্রিক, কাশি, ডায়রিয়া, জন্মনিয়ন্ত্রনের ওষুধ, বদ হজমসহ ৩৩ ধরনের রোগের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া পিরোজপুরের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদে সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে। সিভিল সার্জন আরও জানান মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য এবং গর্ভবতী মা এবং শিশুদের পুষ্টি সেবাও প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে ৭ জন গর্ভবতী নারী কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েক জন নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে জানান বাড়ি থেকে অনতি দুরে এসব ক্লিনিক চালু হওয়ায় তাদের অর্থ ও কষ্ট দুটোই লাঘব হচ্ছে এবং নারীও শিশুসহ স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১২৫৪/নূসী