বাসস দেশ-৩৫
জিনোমÑগবেষণা
‘হিউম্যান হোল জিনোম সিকোয়েন্সি’র কার্যক্রম শুরু করেছে বিসিএসআইআর
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : দেশে প্রথম ‘হিউম্যান হোল জিনোম সিকোয়েন্সি’র কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে মাত্র ৩ দিনের মধ্যে মানুষের অজানা রোগ নির্ণয়, রোগের কারণ, ধরণ, জিন বিন্যাসসহ সকল তথ্য জানা যাবে।
এই গবেষণাগারে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক সিকোয়েন্সার মেশিন দিয়ে আগামী ৫ বছরে কি ধরনের রোগ হতে পারে তা নির্ণয়ে প্রাথমিকভাবে মানুষের (প্রধানত ক্যান্সার ও বংশগত রোগ) সম্পুর্ণ জিনোম সিকুয়েন্সিং করা হবে।
আজ বিসিএসআইআরের সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী বলেন, দেশেই শুরু হলো আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা। স্বাস্থ্য সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা দিবে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। দেশের বাইরে জিনোম সিকুয়েন্সিং জেস স্পেসিফিক মিউটেশন নির্ণয়ের জন্য নমুনা পাঠালে তার রির্পোট পেতে বহু সময় লাগে। কিন্তু এই গবেষণাগারে একসাথে মাত্র তিন দিনে ৪৮ জন মানুষের জিনোম সিকুয়েন্স করা যাবে এবং ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব হবে।
কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ অধ্যাপক, এশিয়া প্যাসিফিক জাপান এর সিনিয়র ফিল্ড এপ্লিকেশনস এর বিজ্ঞানী জেসন কো এবং বিসিএসআইআরের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের মানুষের জিনোম নতুন ক্যান্সার মার্কারসহ অন্যান্য জেনেটিক রোগের মার্কার খুঁজে বের করা। বিসিএসআইআর-এ সাম্প্রতিক স্থাপিত বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক নোভাসেকÑ৬০০০ মেশিন দিয়ে প্রাথমিকভাবে মানুষের (প্রধানত ক্যান্সার ও বংশগত রোগ) সম্পূর্ণ জিনোম সিকুয়েন্সিং করা হবে। তারপর পূর্বে থেকে জানা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জেনেটিক রোগের মার্কারের সাথে আমাদের দেশের জেনেটিক রোগের মার্কারগুলো মিলিয়ে একটা রেফারেন্স মাইক্রো চীপ তৈরি করা হবে যাতে খুব সহজেই নির্ভুলভাবে এবং অল্প খরচে যে কোন জেনেটিক রোগ সনাক্ত কারা যাবে।
উল্লেখ্য, কোনো একটি জীবের ক্রোমোজোমে অবস্থিত সকল জিনসহ পূর্ণাঙ্গ ডিএনএÑজি জিনোম যা একটি জীবের সম্পূর্ণ জৈবিক বিকাশ, আচরণ, বৈশিষ্ট কেমন হবে তা নির্ধারণ করে।
আর জিনোমিকস হলো জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির এক সমন্বিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, যা জৈবিক সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে তার সমাধান বের করে।
এই কার্যক্রমে কাজ করছেন ড. মো. সেলিম খান ও আর সহকর্মীরা, গবেষণাগার স্থাপন এবং গবেষণা কাজে সহায়তা করছেন যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য বিজ্ঞানীরা।
বাসস/সবি/এসএস/১৯৫৫/এমএবি
Home 0সকল সংবাদ বাসস দেশ বাসস দেশ-৩৫ : ‘হিউম্যান হোল জিনোম সিকোয়েন্সি’র কার্যক্রম শুরু করেছে বিসিএসআইআর