বাসস দেশ-২২ : পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর

143

বাসস দেশ-২২
পায়রা বন্দর-চুক্তি স্বাক্ষর
পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর
ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : দেশের পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের লক্ষ্যে
চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম এবং বেলজিয়াম ভিত্তিক জান ডে নুল ড্রেজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ডেভিড জোকার নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন্দরের আরো ড্রাফটের জাহাজ আনাসহ পূর্ণাঙ্গরূপে বন্দরকে চালুর লক্ষ্যে রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড এই পিপিপি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটি বেলজিয়ামের জান ডে নুল পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য ব্যয় হবে আনুমানিক ৮,৬৪৩ কোটি টাকা ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নদীর জোয়ারের সহায়তায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে। কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের জন্য বিদেশ থেকে বছরে ২০ মিলিয়ন মেট্টিক টন কয়লা বন্দরের পোতাশ্রয়ে সরাসরি খালাস করা যাবে,যা দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণ চাহিদা পূরণ করবে। ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ও ৪০ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার বাল্কবাহী জাহাজ বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে। বন্দর অবকাঠামোসহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট যেমন-কন্টেইনার, বাল্ক ও এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে আগ্রহি দেশ ও প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বন্দরকেন্দ্রিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প অবকাঠামো গড়ে উঠবে এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।
পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দর আকারে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাবনাবাদ চ্যানেলকে ভবিষ্যতে ১৪.৫ মিটার গভীর করা হবে। এ নতুন গভীর সমুদ্র বন্দর দেশের উত্তর দক্ষিণ অঞ্চলে অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে রুপান্তরিত হবে। রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
সূত্র জানায়,প্রল্পটির আওতায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ১০.৫ মিটার ড্রাফটের ৪০ হাজার ধারণক্ষমতার বাল্ক ক্যারিয়ারের চলাচলে সক্ষম চ্যানেল (টার্নিং বেসিনসহ) ডিজাইন এবং ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ ১২ বছর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং করা হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর ফলে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থ এবং সর্বোচ্চ ১০.৫ মিটার গভীরতা পর্যন্ত চ্যানেল তৈরি হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং সমীক্ষার জন্য ১৪ মাস এবং ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে ১৪ মাস সময় লাগবে। এরপর ৬ মাস প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এবং ৯ বছর ২ মাস রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সর্বমোট ৮৬৪,৩১৮,৭৪৩ ইউরো (আনুমানিক ৮,৬৪৩ কোটি টাকা) প্রয়োজন হবে যা বেলজিয়াম এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির সহায়তায় এইচএসবিসি এবং এর কনসোর্টিয়াম ব্যাংক হতে পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড গ্রহণ করবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং শেষ হওয়ার ৬ মাস পর হতে এই টাকার ২০টি সমপরিমাণ অর্ধ-বার্ষিক কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ করবে।
বাসস/সবি/এসএস/১৯১০/-আসচৌ