নড়াইলে ৯৪ হাজার ২৬৮ শিশুকে ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

202

নড়াইল, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ১৯ জানুয়ারি নড়াইলের ৩ উপজেলায় ৯৪ হাজার ২৬৮ জন শিশুকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সোমবার দুপুরে নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে জেলা এডভোকেসী ও কর্মপরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) পালন উপলক্ষে নড়াইল স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী টনি। এডভোকেসী ও কর্মপরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহ আলম। অন্যান্যের মধ্যে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. অলোক বাগচী, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট হারাধন চন্দ্র মজুমদার, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মো. আলমগীর সিদ্দিকী, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোল্যা ফোরকান আলীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় জানানো হয়, ভিটামিন এ খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান-এ শ্লোগানে সারা দেশের ন্যায় নড়াইলেও আগামী ১৯ জানুয়ারি শনিবার শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড। নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. মুন্সী আসাদুজ্জামান টনি বলেন, ভিটামিন এ শুধু অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করে। তিনি আরো জানান, ভিটামিন এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যবার্তাও প্রচার করা হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুলে কোন পাশর্^ প্রতিক্রিয়া নেই। শিশুদের ভরাপেটে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন ’এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ’এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ জেলায় এবছর ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১১ হাজার ৮৪ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ’এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮৩ হাজার ১শ’ ৮৪ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ’এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট ৯শ’ ৮২টি কেন্দ্রে দু’প্রকারের এ শক্তিশালী ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১ হাজার ৯শ’ ৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৪শ’ ৩০ জন কর্মী এবং ১শ’ ৪৬ জন সুপারভাইজার সকাল ৮টা হতে বেলা ৪টা পর্যন্ত জেলার ৩ উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের এবং ৩টি পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।